শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৩৯

প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৫ মে ২০১৯ ০৪:০০:৪১ পূর্বাহ্ন

ডায়াবেটিক রোগীরা রোজায় কী খাবেন

ডায়াবেটিক রোগীদের চিন্তা থাকে সুস্থ থেকে কীভাবে রোজা রাখতে পারবেন। একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেমন সুগার যেন বেশি কমে না যায় তা মাথায় রেখে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সুষম খাবারই সুন্দরভাবে রোজা রাখতে সহায়তা করে। ইফতারের সঙ্গে ইনসুলিন ও খাওয়ার ওষুধের যেন সময় নিয়ন্ত্রিত থাকে। বাড়ির সবাই যখন শরবত খান তখন ডায়াবেটিক রোগীরা ভাবেন তিনি কী খাবেন। দইয়ের ঘোল, লেবু দিয়ে শরবত, ডাবের পানি, একটু ফলের রস একটু বেশি পানি দিয়ে ডায়াবেটিক রোগীরা পান করতে পারবে। শরবতে চিনি ব্যবহার করা যাবে না। সিদ্ধ ছোলা, শসা, টমেটো, মুড়ি দিয়ে মাখিয়ে খেতে পারেন। ডায়াবেটিক রোগী যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা আছে তারা খুব বেশি ভাজাপোড়া ও ডুবো তেলে তৈরি খাবার খাবেন না। হালকা ভাজা খাবার তারা খেতে পারেন। ভালো কার্বোহাইড্রেট হতে পারে চিড়া বা মুড়ি এবং যার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খেলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হতে পারে। একটি খেজুর ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই খেতে পারবেন। মৌসুমি ফল মিক্সড করে খেলে এক কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো। ডায়াবেটিক রোগীদের ফল খাওয়ার টিপস হচ্ছে- একটু ছোট ছোট করে কেটে ধীরে ধীরে খাওয়া। অতিরিক্ত লবণ বা বিট লবণ ফলের সঙ্গে মেশানো যাবে না। তারা চাইলে ইফতারে রুটি, সবজি ও একটি ডিম খেতে পারে। এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। রাতের খাবার একটি বা দুটি লাল আটার রুটির সঙ্গে এককাপ দুধ খেতে পারবেন। মাছ-মাংসের সঙ্গে একটু সবজি ও ১-২টি রুটি হতে পারে আপনার রাতের খাবার। এ রোগীরা কোনোভাবেই ডিনার খাওয়া বাদ দেবেন না। এতে হাইপেট্রাগ্লাইসেসিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খুব ভালো পরিমাণে সেহরি খেতে হবে। কারণ ওষুধ বা ইনসুলিন নেয়ার সঙ্গে সেহরি খাওয়ার সম্পর্ক আছে। লাল চালের ভাত এ সময় খাওয়া যায়। মাছ, মাংস, ডিম বা টক দই- এ জাতীয় প্রোটিন বেছে নিতে পারেন। ইসবগুলের ভূসি খুব ভালো ফাইবারের কাজ করে যা ইফতার বা ডিনারের পর খেতে পারেন। ডা. আলমগীর মতি হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক মডার্ন হারবাল গ্রুপ, ঢাকা। মোবাইল : ০১৯১১৩৮৬৬১৭
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com