শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৫

প্রকাশিতঃ রোববার, ২৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন

ডায়াবেটিস রোগীরা কি ফলমূল খেতে পারবেন

ডায়াবেটিস রোগীদের মনে ফল খাওয়া না খাওয়া নিয়ে অপরিসীম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। আবার তাজা ফলমূল আস্ত খাবেন নাকি ফলের রস খাবেন। এ নিয়েও বহু প্রশ্ন আছে অনেকের মনে। আস্ত ফলমূল খাওয়া ফলের রস পানের চেয়ে অনেকটাই ভালো ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। তাজা ফলমূল বা ফলের রস প্রায় সব মানুষের জন্যই ভালো। আর সে ফল যত রঙিন হয় ততই ভালো, বিশেষ করে সবুজ হলে। ডায়াবেটিসের রোগীর ক্ষেত্রেও কিছুদিন আগ পর্যন্ত এরকম ভাবা হতো। কিন্তু বেশিরভাগ ফলের রসই ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজ বৃদ্ধির কারণ হবে। আবার সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু ফলের রস দীর্ঘদিন নিয়মিত পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক বৃহৎ আকারে গবেষণার ফলাফল শুধু ডায়াবেটিসের রোগী নয়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে এমন সবাই তাজা ফলমূল খেলে লাভবান হবেন। লন্ডনভিত্তিক এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত তাজা ফল খান তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১২ শতাংশ কমে যেতে পারে এবং পুরুষ-মহিলা যে কোনো বয়স, অঞ্চল, মৌসুম, ধূমপান, মদপান, শারীরিক শ্রম বা শ্রমহীনতা দৈহিক সু্থলতা এবং ডায়াবেটিসের পারিবারিক- এর কোনোটিই এই ঝুঁকি কমানোর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে না। আবার যারা প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে তাজা ফল নিয়মিত খেয়ে যাচ্ছেন, তাদের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত মারাত্মক জটিলতাসমূহ : ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত যে কোনো রোগ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। নিয়মিত ফল খাওয়া বলতে প্রতিদিন এক থেকে তিনটি তাজা ফল খাওয়া বুঝাচ্ছে। তাজা ফলে প্রচুর আঁশ, খনিজ পদার্থ এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা একই সঙ্গে শক্তিদায়ক, প্রদাহনাশক, উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক, রক্তের বৃদ্ধি বা হ্রাসকরণের সহায়ক এবং রক্তনালিতে ব্লক তৈরিতে বাধা প্রদান করতে পারে। ফলমূলের উপাদানসমূহ মাইক্রোবায়োবা সমূহকে প্রভাবিত করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। ডা . শাহজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com