সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:৩৮

প্রকাশিতঃ রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:০৩:৪৫ অপরাহ্ন

যে ১০টি বদঅভ্যাস কিডনি ধ্বংস করছে

কিডনি আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। প্রতিদিন আমাদের দুটি কিডনি ১২০-১৫০ কোয়ার্ট রক্ত, বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করে ১-২ কোয়ার্ট পেশাব উৎপাদন করে। শরীরে কোনো বিষাক্ত বর্জ্য জমতে দেয় না কিডনি। ইলেকট্রোলাইট নিয়ন্ত্রণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার হরমোন উৎপাদনও করে কিডনি। এছাড়া লাল রক্ত কনিকা উৎপাদন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে কিডনি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কীভাবে ভালো থাকবে তা জানাটা যে জরুরি সেটা বলাই বাহুল্য। এখানে রইল প্রতিদিনের এমন ১০টি অভ্যাসের বিবরণ যেগুলো আপনার কিডনিকে ধ্বংস করছে। ১. অতিরিক্ত মদপান প্রতিদিন এক পেগের বেশি মদপান করলে কিডনি বিকল হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ অ্যালকোহল কিডনি এবং লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। ২. পেশাব ধরে রাখা সময় মতো পেশাব না করে তা চেপে রাখলে কিডনির ওপর যে চাপ পড়ে তার ফলে কিডনি বিকল হওয়া এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে। ৩. পর্যাপ্ত পানি পান না করা আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন তাহলে দেহ থেকে যেসব বর্জ্য এবং বিষ বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেসব না বের হয়ে জমা হতে থাকবে। যার ফলে কিডনির মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৪. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন দুইবাবের বেশি মিষ্টি পানীয় পান করেন তাদের পেশাবে প্রোটিন দেখা দেয়। কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি এটি। ৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম প্রবেশ করলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। কারণ তা কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ৬. ঘুম কম হওয়া দীর্ঘদিন ধরে ঘুম কম হলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। কেননা কিডনিতে দিনের বেলায় যে ড্যামেজ হয় তা মেরামতের জন্য রাতে ভালো ঘুম দরকার হয়। ৭. ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি আপনি যেসব খাবার খান সেসবের ওপরই কিডনির ভালো থাকা না থাকার বিষয়টি নির্ভর করে। আপনার শরীরে যদি ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি থাকে তাহলে আপনার দেহ ঠিকঠাক মতো কাজ করবে না। ৮. অতিরিক্ত কফি পান ক্যাফেইন কিডনির ওপর চাপ এবং রক্তচাপ বাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত কফি পান করলে কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে। ৯. ব্যাথানাশক ওষুধের অপব্যবহার যন্ত্রণা এবং ব্যাথা দূর করার জন্য যেসব ওষুধ সেবন করা হয় সেসবের বেশ কয়েকটিতে আছে বিপজ্জনক সব রাসায়নিক। যা থেকে দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসবের ওষুধের মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর একটি হলো কিডনি এবং লিভার ধ্বংস। ১০. অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া লাল মাংসের মতো প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খাওয়ার ফলে কিডনির বিপাকীয় প্রক্রিয়ার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। সুতরাং লাল মাংস না খাওয়াই কিডনি ভালো রাখার উপায়।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com