বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯ ০৯:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন

বোনকে পড়া বোঝানোর নামে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, অতঃপর...

পড়াশুনায় কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আমার বাড়িতে চলে আয়, বুঝিয়ে দেব। '' চাচাতো ভাইয়ের এমন প্রস্তাব সরল মনে বিশ্বাস করেছিল বোন। তাই তো সে বই নিয়ে গিয়েছিল চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে। কিন্তু, ভাবতেও পারেনি এরপর তার জন্য কি ভয়ংকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। বোনকে পড়ানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে ভাই। এখানেই শেষ নয়, তারপর প্রমাণ লোপাট করতে খুন করে তার দেহ বস্তায় ভরে বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে রাখে। চেয়েছিল সুযোগ বুঝে সেটা কোথাও ফেলে আসবে। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাইয়ের ঘরে নিজের মেয়ের সন্ধান পান মেয়েটির বাবা-মা। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ এই ঘটনাটি ঘটেছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার অন্তর্গত ঢ্যাঙাশোল গ্রামে। শালবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল যুবক বাপ্পাদিত্য মাহাতোর চাচাতো বোন। কাকার বাড়ির উলটো দিকে ছিল বিবাহিত বাপ্পাদিত্যর মাটির বাড়ি। সেদিন ওই ছাত্রীর বাড়িতে কেউ ছিল না। মেধাবী বোনকে পড়ানোর টোপ দিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে ওইদিন দুপুরে ধর্ষণ করে সে। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে খুন করে। তার পর তার দেহ বস্তায় ভরে বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে রাখে। পরে মেয়েটির পরিবারের সবাই যখন তার খোঁজ করতে থাকে, তখন সেই দলে মিশে খোঁজার অভিনয় করে যাচ্ছিল বাপ্পাদিত্য নিজেও। বিকেল পর্যন্ত না খোঁজ পাওয়ার পর সন্দেহবশত ওই যুবকের বাড়ি পরীক্ষা করতে গিয়ে বস্তায় ভরা দেহ দেখতে পেয়েছিল মেয়েটির বাবা-মা। এর পরই ফেরার হয়ে গিয়েছিল বাপ্পাদিত্য। শালবনি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েক দিন পরে তাকে গ্রেফতার করেছিল মেদিনীপুর শহর থেকে। জেল হেফাজতে ছিল সে। অবশেষে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত বাপ্পাদিত্যকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ রায় শোনার পর মৃতার বাবা বলেন, ‘‘বাপ্পাদিত্য আমার ভাইপো, কিন্তু তা হলেও ওর ফাঁসি হলে অনেক বেশি শান্তি পেতাম। তবু আদালত যা রায় দিয়েছে তাতে খানিকটা স্বস্তি। ’’
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com