সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৮

প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮ ১১:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

কয়েকটি দেশে যেভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়

আসছে পবিত্র ঈদুল-ফিতর। আগামী শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্য এবং শনিবার বাংলাদেশসহ অন্য দুই একটি দেশে ঈদুল-ফিতর পালিত হতে পারে। ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে প্রতিটি দেশ তথা সমাজে বিভিন্ন আয়োজন হবে যেমন ঠিক, তেমনি নানা দেশে নানা ভাষায় এই দিনটিকে স্বাগত জানানো হয়। ঈদকে স্বাগত জানানোর সার্বজনীন বাক্য হচ্ছে, ঈদ মোবারক। এটি আরবি শব্দ, যার অর্থ শুভ ঈদ বা ঈদ শুভ হোক। এর বাইরে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় ভাষায় ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়, তারই কয়েকটি পরিবর্তন ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। তুরস্কে ঈদুল-ফিতরকে বলা হয় ‘সেকার বেইরামি’ অথবা ‘ফেস্টিভাল অব সুইটস’। এখানে বেইরাম অর্থ উৎসব বা উদযাপন দুটোকেই বোঝায়। আর তুরস্কের লোকজন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে- বেইরামিনিজ কুতলু ওলসান- বলে। যার অর্থ হলো- আপনার ঈদ উদযাপন শুভ হোক। এ ছাড়া বেইরামিজ মুবারেক ওলসুন বলেও তারা সম্মোধন করেন, যার অর্থ প্রায় একই। অন্যদিকে, আমরা যেমন ঈদ মোবারক বলি, তুর্কিরা বলে হ্যাপি ঈদ বা মুতলু বেইরামলার অথবা হ্যাপি বাইরাম। ইন্দোনেশিয়ায় ঈদকে বলা হয় ‘লেবারান’। আর ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলা হয়, সেলামাত লেবারান অথবা সেলামাত ঈদুল-ফিতরি; যার অর্থ ওই একই অর্থাৎ ঈদ শুভ হোক। আপনি যদি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর কিংবা ব্র“নাইতে অবস্থান করেন তাহলে তারা আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবে এভাবে- হারি রায়া আইডিলফিতরি অথবা হারি রায়া পোসা। ‘হারি রায়া’ এর অর্থ হলো উৎসবের দিন বা উদযাপনের দিন। নাইজেরিয়ায় ঈদুল-ফিতরকে ঈদুল-আজহার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। তাই তারা ঈদুল-ফিতরকে ‘স্মল (ছোট) সাল্লাহ’ হিসেবে অভিহিত করেন। আর হাউসা ভাষা অনুযায়ী সাল্লাহ অর্থ ঈদ। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার সবচেয়ে মুসলিম উপজাতির ভাষা হাউসা। আর তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ‘বারকা দা সাল্লাহ’ বলে। যার অর্থ হলো, ঈদের শুভেচ্ছা। এক কথায়, যে যেখানকার ভাষাতেই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করুক না কেন- তার চূড়ান্ত অর্থ হলো, ঈদের শুভেচ্ছা জানানো, স্বাগত জানানো, মঙ্গল বা কল্যাণ কামনা ইত্যাদি।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com