শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:০১

প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯ ১০:৩১:১১ পূর্বাহ্ন

সখীপুরে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে তার বন্ধুরা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ। জানা যায়, অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠে বসে গল্প করছিল। পরে মেয়ের পরিচিত পাঁচ বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের আওতাধীন কাকড়াজান বিটের একটি গহীন বনে নিয়ে যায়। নির্জন ওই বনের একটি খালি জায়গায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে ওরা বিবস্ত্র করে চর-থাপ্পর মারে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে বলে। না ধরায় আবারও চর-থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে ওরা ওদেরকে ধর্ষণে লিপ্ত হতে চাপ দেয়। পরে এক সময় সাদ্দাম হোসেন, মো. জালাল ও আশরাফুল ইসলাম প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। নজরুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন ধর্ষণের সুযোগ না পেলেও তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে ওই প্রেমিক ডাক-চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে এক ব্যক্তি টর্চ লাইট নিয়ে এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল যোগে ওই পাঁচ বন্ধু পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ মার্চ টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে বিচার হওয়ার চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে কোনও বিচার না পেয়ে গত শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পনগ্রাফি আইনে মামলা করেন। সখীপুর থানার পুলিশ রবিবার সকালে দুই নম্বর আসামি জালালকে (২৫) গ্রেফতার করে। পুলিশ জালালের কাছ থেকে ধর্ষণের ও প্রেমিক-প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করার ভিডিও উদ্ধার করে। বাকি আসামিদের কাছে আরও ভিডিও রয়েছে বলে পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়। গ্রেফতার হওয়া জালাল জানান, মেয়েটি আমাদের পাড়ার। সে মাঝে মধ্যেই ওই ছেলেকে নিয়ে মাঠে বসে গল্প করে। আমাদের সঙ্গে প্রেম না করে অন্য গ্রামের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় হিংসাত্মকভাবে তাদের জোর করে তুলে নেওয়া হয়। মেয়েটির বাবা জানান, আমার কপাল খারাপ। মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সখীপুর থানায় মামলাও হয়েছিল। এরপর থেকে থানা ও আদালতে ঘুরতে গিয়ে ও লোকলজ্জার ভয়ে আর স্কুলে পড়া হয়নি মেয়েটির। আবার মামলায় যেতে হলো। আগের মামলায় মেয়ে বাদী ছিল। এবার আমাকেই বাদী হতে হয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত পশুদের বিচার দাবি করছি। সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে রবিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com