বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮

প্রকাশিতঃ রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ০১:৫৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

কুয়েতে জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

কুয়েত সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশটির ৬০তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুয়েতে পালিত হয় দিনগুলো।

যদিও করোনার কারণে এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। ১৯৬১ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর দিনটিকে জাতীয় দিবস এবং ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইরাকি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাক্রমে জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস পালন করে দেশটির সরকার।

দিবসটি উপলক্ষে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি বেসরকারি ভবন, সড়ক, পার্ক, শপিংমল,বাসাবাড়িসহ সব জায়গায় লাল, সবুজ, সাদা, কালো জাতীয় পতাকার রঙে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মেলা, নাচগান, অভিনয়, সার্কাস, যাদুসহ নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে কুয়েত সেজে নতুন রূপে। ঈদের আনন্দের চেয়েও এ দিনটিতে স্থানীয় নাগরিকরা বেশী আনন্দ করে থাকে। ছেলে ও মেয়েরা সবাই জাতীয় পতাকার রঙে পোশাক পরিধান করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পানির পিস্তল, পানিভর্তি বেলুন নিয়ে রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে একে অন্যের দিকে ছুড়ে মারে। বিশেষ করে কুয়েতের গালফ রোডটি মুখরিত হয়ে উঠে তাদের আনন্দ মিছিলে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা বন্ধু বান্ধব, পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং প্রিয়জনদের নিয়ে উপভোগ করেন কুয়েতের অপরূপ সৌন্দর্য। কিন্তু এবার করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিধি নিষেধ আরোপিত হওয়ায় দিনটি পালিত হচ্ছে একান্তই সাদামাটাভাবে। সরকারের দেয়া নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে সরকার যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সকল প্রবাসীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com