সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১১

প্রকাশিতঃ শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২০:২৮ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার চার শতাধিক

চলমান অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযানে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পার্শ্ববর্তী সাইবারজায় এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ৩৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসময় তিনটি ব্লকে একজগে অভিযান পরিচালনা করে স্পেশাল বাহিনীর ৭১ জনের টিম। আটক করা হয় ২,২৩০ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের। আটককৃতদের মধ্য যাচাই-বাছাই শেষে সর্বমোট ৩৩৮ জন কে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ার ২০৮ জন যার মধ্যে ১৭২ নারী। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের ৫৫, মায়ানমারের ২৮ , নেপালের ৪৭জন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ১৯৬৩ আইনের আওতায় আটক করা হয়েছে। এ সময় অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো সেরি মোস্তফার আলী বলেন, অবৈধ মালয়েশিয়াতে নিয়োগকারী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের জন্য এটি একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা। আমরা যে কোন জায়গায় যে কোন অবস্থাতেই অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যতদিন না এই দেশ থেকে অবৈধ শ্রমিক বিতাড়িত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিগত দিনে অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লেও এবারের বেলায় রয়েছে ভিন্ন। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রিঙ্গিত সহ জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। তিন বাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা মালয়েশিয়াকে অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করা হবে বলে জানালেন অভিবাসন বিভাগের প্রধান। যে তিন বাহিনী দিয়ে এবারো অভিযান সাজানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও রেলা। অবৈধ অভিবাসীদের বাসস্থান ও কর্ম ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য রয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করবে অভিবাসন বিভাগ। এছাড়াও মালয়েশিয়ার পরিত্যক্ত ঘর, ব্রিজের নিচে ও জঙ্গলে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান অভিবাসন বিভাগের প্রধান। অভিবাসীদের জনসমাগম সহ একত্রিত হতে দেখলেই অভিবাসন বিভাগের ফেসবুক পেজে অথবা টেলিফোন নাম্বার এ যোগাযোগ করতে বলা বলা হয়েছে। তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রেখে অভিযান পরিচালনা করা হবে। শুধু অবৈধ অভিবাসী সন্ধানে নয় বরং তাদের মালিক কেউ আইনের মুখোমুখি করা হবে এবারের অভিযানে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রকার আউট পাস সংগ্রহ করতে দেয়া হবে না বলে জানান অভিবাসন বিভাগ প্রধান। বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, বিদেশি নাগরিক দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। এছাড়া কাজের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে তাকেও অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আর অবৈধ হিসেবে ধরা পড়লেই ব্ল্যাক লিস্ট সহ জেল জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন দূতাবাসে অবৈধ শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল পাস ইস্যুর ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com