বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:০৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

অপচয়রোধ ও সমন্বয়হীনতা দূর করতে আসছে একক বাজেট

আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়নে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন, অর্থের অপচয়রোধ, বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা ও দ্বৈততা দূর করতে ‘সিঙ্গেল বাজেট’ বা একক বাজেট পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একক বাজেট পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থার নিয়মিত বাজেটের আওতাভুক্ত নির্দিষ্ট মেয়াদে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। একই সঙ্গে অনাবর্তক প্রকৃতির বিনিয়োগ সংক্রান্ত ও সংস্কারধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রমও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত অনাবর্তক প্রকৃতির বিনিয়োগ সংক্রান্ত ও সংস্কারধর্মী বিভিন্ন টাস্ক/কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া কর্মসূচি সমন্বয়/বাস্তবায়ন ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। একক বাজেট পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প চিহ্নিতকরণ, প্রণয়ন, যাচাই, অনুমোদন/সংশোধন, বাস্তবায়ন এবং পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত একটি বিধিমালাও প্রণয়ন করেছে অর্থ বিভাগ। বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী দফতর/সংস্থা খসড়া প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন/সমন্বয় ইউনিটে পাঠাবে এবং ইউনিট খসড়া প্রকল্প পরীক্ষা করে এটি চূড়ান্ত করবে। প্রকল্প যাচাইয়ে দুটি কমিটি থাকবে। কোনো কর্মসূচির আওতায় ব্যয় ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে প্রকল্প যাচাই কমিটি-২ এবং ব্যয় ১০০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রকল্প যাচাই কমিটি-১ তা পর্যালোচনা করবে। উভয় ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন অর্থমন্ত্রী। সূত্র জানায়, সাধারণভাবে প্রকল্পের কোনো সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা থাকবে না। তবে প্রকল্পের ব্যয় সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্য মেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে হতে হবে। প্রকল্পের সময়সীমা হবে সাধারণত পাঁচ বছর। প্রকল্পটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ করা সম্ভব হয়। এছাড়া প্রকল্পের ব্যয় ১০০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রকল্প গ্রহণের আগে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। যৌক্তিক ক্ষেত্রে প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োগ এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী আউট-সোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা যাবে। তবে প্রকল্পের আওতায় কোনো যানবাহন ক্রয় করা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী, দৈনিক/মাসিক ভিত্তিতে আউট-সোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিবহন সেবা গ্রহণ করা যাবে। প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বিস্তারিত বিবরণ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে হবে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দফতর/সংস্থা প্রধানের নেতৃত্বে প্রত্যেক স্কিমে একটি ‘বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ বাজেট বরাদ্দের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তিন কিস্তির অর্থ প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে এবং সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী শেষ কিস্তিতে অবশিষ্ট অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। প্রকল্পের আওতায় সব ধরনের ক্রয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান যথাযথ প্রতিপালন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের বাজেট ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ/অধিশাখা কর্মসূচির আওতায় অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করবে এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে তা ‘বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির’ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সমাপ্তির পর প্রকল্প পরিচালক একটি সমাপ্তি প্রতিবেদন তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এটি পরীক্ষা করে চূড়ান্ত করে অর্থ বিভাগ এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে পাঠাবে।





আরো খবর