প্রথম দুই ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা ভোগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
কেমার রোচ ও ওশানে টমাস বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের গতি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সিদ্ধহস্তে সামলেছেন দুই পেসারকে। কিন্তু হঠাৎ উইকেট বিলিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন ওই ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের শতরানের জুটি ভাঙার পর টমাস ও রোচ দারুণ জবাব দেন। শেষ দিকে দুজনই রানের চাকা আটকে রাখেন। আবার সাকিব আল হাসান টমাসের এক ওভারেই নিয়েছিলেন ১৬ রান। সব মিলিয়ে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করেছে দুই পক্ষই।
তবুও ওদের আগ্রাসন নিয়ে রয়েছে উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ পেসে দুর্বল বলেই এই উৎকণ্ঠা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণ বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ করে দিতে পারে যেকোনো সময়, এমন বিশ্বাস রোভম্যান পাওয়েলের। তবে মাশরাফিরা সফরকারীদের পেস আক্রমণ নিয়ে ভীত নন। অধিনায়কের বিশ্বাস, ব্যাটসম্যানরা ভালোভাবেই সামলে নেবে দ্রুতগতির দুই পেসারকে।
‘ওদের পেস বোলিংকে কিন্তু আমরা দুইটা ম্যাচেই সামাল দিয়েছি। এটা ঠিক শুরুতে একটা-দুইটা উইকেট পড়েছে। শেষ ম্যাচেও যদি দেখেন, মুশফিক ও তামিমকে কিন্তু ওরা পেস বোলিং দিয়ে খুব একটা ভোগাতে পারেনি। একই সঙ্গে রিয়াদকেও না। ইনিংসের শুরুতে হয়তো কিছুটা হতে পারে, এটা স্বাভাবিক। সাকিবও খুব আরামেই খেলেছে এবং শটও খেলতে পেরেছে। আমার মনে হয় না, খুব একটা কিছু করতে পেরেছে (ওদের পেসাররা)।’
টমাস দুই ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ৫ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৩টি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইমরুল, মুশফিক ও সৌম্যর উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। তার বোলিং নিয়ে মাশরাফির মূল্যায়ন, ‘দুই দিনই ও ছয় ইকোনমিতে বোলিং করেছে। রান নিয়ে কিন্তু কোনো ইস্যু নেই। আমরা ছয় করে নিয়ে তো খুব স্বস্তিতে আছি। মূল ব্যাপার হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ও দুয়েকটা উইকেট নিয়ে নিচ্ছে। এটা কমিয়ে আনাটা গুরুত্বপূর্ণ। ১৪৭ গতিতে বল করেছে, তার ওভার থেকেই কিন্তু সাকিব ১৬ রান নিয়েছে। ওদের ইতিবাচকতার দিক থেকে ঠিক আছে, তবে আমাদেরও খুব একটা সমস্যা হয়নি। যেটা হয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি। তাই ওতটা ভাবনার কিছু নেই।’’