ভারতে চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জমজমাট টি-২০ ক্রিকেটের আসর। আর সেই ক্রিকেট খেলা দেখতেই হাজির হচ্ছেন বিশ্বের নানা দেশ থেকে ক্রিকেটভক্তরা।
এমনকি চীন থেকেও হাজির হয়েছেন সমর্থকরা।
ধোনির ব্যাটিং নিজের চোখে দেখতে রবিবার কলকাতার ইডেনে আসেন চীনের দুই তরুণ সমর্থক। কলকাতায় মাদার হাউসে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দুই সপ্তাহ কাজ করছেন চীনের চেংদু শহরের চাও এবং জিয়াও জিয়াং। চাও যদিও কেকেআর জার্সি পরেই মাঠে এসেছিলেন। কিন্তু জিয়াও আদ্যোপান্ত ধোনির অন্ধ অনুগামী। চেন্নাই সুপার কিংস তারকার সাত নম্বর জার্সি পরেই মাঠে উপস্থিত হন তিনি।
চীনে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা সেভাবে এখনও নেই। এমনকি আইসিসি-র অ্যাসোসিয়েট দেশগুলোর তালিকাতেও নেই সে দেশের নাম। কিন্তু অননুমোদিত দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে জিয়াওদের দেশ।
সে দেশে খুব বেশি দিন ক্রিকেট শুরুও হয়নি। কিন্তু ২০১১ সালে ভারত দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই ক্রিকেটের চল না কি সে দেশে বেড়েছে। চাও বলছিলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে ধোনি কী দুর্ধর্ষ ছয় মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছিল। সেই স্মৃতি আমার কাছে সব সময় তরতাজা। ’
সেখানই না থেমে চাও আরও বললেন, ‘তার পর থেকেই চীনে অদ্ভুত ভাবে ক্রিকেটের সমর্থন বেড়ে গেল। আমি বাবাকে বলেছিলাম একটা ব্যাট কিনে দিতে। কিন্তু চেংদুতে ব্যাট পাওয়া যেত না। বাবা সাংহাই থেকে ব্যাট নিয়ে এসেছিল আমার জন্য। ’
কিন্তু হঠাৎ ধোনিকে দেখার পরে কেন ক্রিকেট খেলতে শুরু করলেন চাও? তাঁর উত্তর, ‘ধোনিকে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম ক্রিকেট অতটা কঠিন নয় যেরকমভাবে দেখানো হয়। অনেক সহজ করে খেলা যেতে পারে। সেটাই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। তার পর থেকে আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলতাম। খেলিও। ’
জিয়াও আবার বলছিলেন, ‘ধোনির ব্যাটিং ছাড়া আমি আর কারও খেলা দেখি না। তাই একেবারে সিএসকে জার্সি পরেই মাঠে চলে এসেছি। পরশু আবার দেশে ফিরে যাব। তার আগে প্রিয় নায়ক ধোনির খেলা ইডেনে বসে দেখে গেলাম। স্বপ্নপূরণ বলা যেতে পারে। ’
চাও জানিয়ে গেলেন, এ বার ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু কোন দলকে সমর্থন করবেন? চাও বলছিলেন, ‘ধোনির খেলা দেখতে যাব। এটা যে হেতু দেশের বিরুদ্ধে দেশের খেলা, তাই কোনো দেশকে আলাদা ভাবে সমর্থন করব না। ’
সূত্র : আনন্দবাজার