শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:২১:২৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

চাঁদপুর ১ এ আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়নে উত্তেজনা

চাঁদপুর ১ কচুয়া আসনে শেষপর্যন্ত কে ধরবেন নৌকার হাল- এই নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারণ, এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একজন বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং অন্যজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন। এদিকে, দলের মনোনয়ন লাভের পর আজ এলাকায় অবস্থান করছেন মো. গোলাম হোসেন। তিনি দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। অন্যদিকে, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঢাকায় অবস্থান করলেও রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে বহাল রাখতে তাঁর সতীর্থরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা দুইবারের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং একসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তৃতীয়বারের মতো নৌকার মনোনয়ন লাভ করলেও তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সরকারের সাবেক প্রভাবশালী সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেনকে। বিগত ২০১৫ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাবার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন সরকারের সাবেক এই শীর্ষ আমলা। ফলে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাঁর পক্ষে যোগ দিতে শুরু করেন। এতে মো. গোলাম হোসেন স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তোলেন। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং মো. গোলাম হোসেন এই দুজনের মনোনয়নযুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত কয়েকমাস ধরে কচুয়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত দলের মনোনয়ন যৌথভাবে দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন আরো উত্তেজনাকর। মো. গোলাম হোসেনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য ব্যক্তিকেই নৌকার হাল ধরার দায়িত্ব দিয়েছেন। কারণ, কচুয়ার উন্নয়ন, স্থানীয় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন, সন্ত্রাস, মাদক নির্মুলে মো. গোলাম হোসেনের অন্যকোনো বিকল্প নেই। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের জয়ের ধারা ধরে রাখতে হলে তিনিই একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী। যিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে এই আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে, বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আইউব আলী পাটোয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দিতে হবে। নয়তো তাঁর সতীর্থরা সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।





আরো খবর