বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ১১ আগস্ট ২০১৯ ০১:৫০:৫৫ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

রাজধানীতে গরু বিক্রির ২৮ লাখ টাকা ছিনতাই, ব্যবসায়ীর আহাজারি

গরু বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক গরু ব্যবসায়ী ২৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে তেজগাঁও থেকে গাবতলী যাওয়ার পথে আসাদ গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজধানীর তেজগাঁও কলোনী বাজার গরুর হাট এলাকার সড়কে তিনি শুয়ে পড়ে বিলাপ করছেন আর বলছেন, ''গাড়ি আমার ওপরে তুলে দেন। আমি বাঁচতে চাইনা গো। আল্লাহ আল্লাহ। আমারে আপনারা মাইরা ফালান। ও মা গো আল্লাহ রে। ’ জানা গেছে, রাজধানীর তেজগাঁও কলোনী বাজার গরুর হাটে ১৮টি গরু নিয়ে এসেছিলেন হানিফ শেখ নামের রাজশাহীর ওই গরু ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বিক্রি হয় ১৬টি। গরু বিক্রির মোট ২৮ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে তার। গরু ব্যবসায়ী হানিফ শেখ জানান, ধার-দেনা করে কোরবানির হাটে তিনি ১৮টি গরু নিয়ে এসেছেন। কিন্তু গরু বিক্রির নগদ টাকা কাছে রাখা নিরাপদ না ভেবে ছেলে এবং জামাইয়ের মাধ্যমে টাকাগুলো নিজ বাড়ি রাজশাহীতে পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু সকালে তার ছেলে এবং জামাইসহ তিনজন হাটের পাশ থেকে একটি সিএনজি নিয়ে রাজশাহীর গাড়িতে উঠার জন্য গাবতলীর দিকে রওনা হন। ছিনতাইয়ের ঘটনার শিকার ওই সিএনজিতে থাকা বাচ্চু শেখ ফিরে এসে জানান, আসাদগেট এলাকায় হঠাৎ চালক সিএনজি থামিয়ে দিয়ে বলে ইঞ্জিনে সমস্যা। এই বলে চালক সিএনজি থামিয়ে নামেন। সঙ্গে সঙ্গেই দুইজন লোক এসে বলে তোরা ছিনতাইকারী। সিএনজি থেকে নেমে আয়। এমন কথা শুনে তারা নিজেদের গরু ব্যবসসায়ী পরিচয় দেয়। তবুও কথা না শুনে চেক করার নাম করে সিএনজি থেকে নামায়। এরপর একটি স্থানে নিয়ে তারা নানা প্রশ্ন করা শুরু করে। এরই ফাঁকে সিএনজি চালক টাকার ব্যাগসহ লাপাত্তা হয়েছে যায়। পরে তারা চিৎকার দেওয়া শুরু করলে উপস্থিত ব্যক্তিরাও দ্রুত সেখানে থেকে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় হাটের পুলিশ সদস্যদের পরামর্শে মোহাম্মদপুর থানায় তার ছেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী হানিফ শেখ। এ বিষয়ে মোহাম্মাদপুর থানার পরিদর্শক অপারেশ মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না ভিকটিমরা। সে কারণে মোহাম্মাদপুর থানার একটি টিম ও শেরে-ই-বাংলা নগর থানার অপর একটি টিম ঘটনাটি তদন্তে কাজ করছে। ’





আরো খবর