বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯ ০৫:২৩:৫৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সরকারি আমানতে ৬ শতাংশের বেশি সুদ নয়

সরকারি সংস্থার অর্থ আমানত হিসাবে রাখার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে না। এসব আমানত ৬ শতাংশ বা এর কম সুদে রাখা যাবে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। যেসব ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়েছে, তারাই শুধু এই টাকা পাবে। যারা নামায়নি, তারা সরকারি আমানত পাবে না। ঋণের সুদের হার কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগে ২০ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি সংস্থাগুলো তাদের এডিপি ও অন্যান্য খাতের নিজস্ব অর্থ ৬ শতাংশের বেশি সুদে ব্যাংকগুলোয় আমানত হিসাবে রাখতে পারবে না। ফলে এখন থেকে ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের এসব অর্থ আমানত রাখার ক্ষেত্রে কোনো পক্ষই ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে না। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়ে ব্যাংকগুলোকেও বলেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত রাখতে ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেয়া যাবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকারি সংস্থাগুলোকে তাদের আমানত সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে ব্যাংকে রাখতে বাধ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের মাত্র ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ সরকারি খাতের। এর মধ্যে সরাসরি সরকারি খাতের আমানত ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সরকারি অন্যান্য (স্বায়ত্ত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত) সংস্থার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাকি ৮০ দশমকি ৭৯ শতাংশই হচ্ছে বেসরকারি খাতের আমানত। ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ১০ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের আমানত হচ্ছে ৮ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারি খাতের মোট আমানত হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি আমানত ৬৭ হাজার ৫৭৬ লাখ কোটি টাকা এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার আমানত ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, মোট আমানতের মধ্যে সরকারি আমানতের পরিমাণ খুবই কম। ফলে এই আমানত ঋণের সুদের হারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। এ কারণে সরকারি খাতের আমানত প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকারের বৈদেশিক তহবিল টাকায় রূপান্তর করে ব্যাংকে আমানত হিসাবে রাখা হবে। অন্য আরও যেসব তহবিল থাকে, সবই ব্যাংকে রাখা হবে। এতে টাকার প্রবাহ ব্যাংকমুখী হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মানি হিসেবে যেসব অর্থ নিজেদের কাছে রাখে, তা থেকেও কিছু অর্থ বাজারে ছাড়া যাবে। সব মিলে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়বে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, সরকারি সংস্থাগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) তহবিলের আওতায় সরকার থেকে পাওয়া অর্থ এবং সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব তহবিলের অর্থ সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে ব্যাংকে আমানত রাখতে হবে। এসব আমানত বাণিজ্যিক ব্যাংক বা নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় আমানত হিসাবে রাখা যাবে। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত বছরের ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে কেবলমাত্র ওইসব প্রতিষ্ঠানই এই আমানত পাবে। যারা ঋণের সুদের হার ওই সময়ের মধ্যে ৯ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা এই আমানত পাবে না। এসব আমানত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নোটিশ আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখা হবে।





আরো খবর