বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ ০৩:০১:৩২ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

মোটরসাইকেলে সব বৌদ্ধ মন্দির ঘুরলেন পটুয়াখালীর এসপি

বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ মইনুল হাসান নিজেই মোটরসাইকেলে ঘুরে জেলা-উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সবকটি বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছেন। তবে পুলিশ সুপার নিজে মোটরসাইকেলে ঘুরে মন্দির পরিদর্শনের ঘটনায় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যেটা এর আগে কখনো হয়নি। পাশাপাশি জেলার সবগুলো গীর্জা ওপ্যাগোডায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বলয় তৈরির ঘোষণা দেন। এতে বৌদ্ধ ওখ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সাধারণ মানুষ পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাবির্ক নিরাপত্তা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা সভায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জসিম উদ্দিন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাপাড়া সার্কেল জালাল আহমেদসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, ‘প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া মন্দিরগুলোতে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি প্রতিয়মান হলে পুলিশ সদস্যরা সেখানে কাজ করবে। আশা করছি শতভাগ সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে এবারের বৌদ্ধ পূর্ণিমার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।’ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি থেমংলা রাখাইন জানান, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, কলাপাড়া এবং কুয়াকাটাসহ জেলার একাধিক মন্দিরে বৌদ্ধ পূর্ণিমার আয়োজন করা হবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর ফানুস উড়ানো এবং মেলার আয়োজন করা হয়নি। এদিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কর্মকর্তা জেলার সবকটি মন্দির সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এসময় স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেন এসপি। তাদের সব ধরনেরনিরাপত্তার পাশাপাশি সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।





আরো খবর