বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০০:৫১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

এখনও প্রায় ৫১ শতাংশ শ্রমিক বেকার

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ধসে পড়েছিল ৯ তলা ভবন রানা প্লাজা। ছয় বছর পার হয়ে গেলেও এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিক ও তার স্বজনেরা সুবিচার পাননি। বিচার হয়নি অভিযুক্তদের। মামলাগুলোর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। নিহত শ্রমিকদের স্বজনেরা যেমন যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি, তেমনি যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় আহত অনেক শ্রমিকই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে আজও ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ একসঙ্গে না দেয়ায় (যারা পেয়েছেন) এসব শ্রমিকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। প্রায় ৫১ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে গড়া হাইকোর্ট বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হতাহত ও তাদের স্বজনেরা। তবে ওই দুর্ঘটনার পর ছয় বছরে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগে কারখানা নিরাপত্তা, তদারকি, শ্রমিকের মজুরি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার অগ্রগতি হয়েছে। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও অনেক কারখানার মান উন্নয়নের কাজ বাকি রয়ে গেছে। এ ছাড়াও সরকারি উদ্যোগে কারাখানাগুলোর পরিবেশ ও শ্রম অধিকার রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতারও ঘাটতি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কার্যকর উন্নতি না এলে তা ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায় আবারও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। জানতে চাইলে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। বছরের পর বছর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন।





আরো খবর