বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৩:২০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে: টিআইবি

তৈরি পোশাক খাতের মজুরি নিয়ে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, নতুন কাঠামোতে মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে। মঙ্গলবার রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থার সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা ও মো. মোস্তফা কামাল। সংবাদ সম্মেলনের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম। সে হিসেবে মজুরি বাড়েনি, বাস্তবে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে। টিআইবি জানায়, ২০১৩ সালের ঘোষিত মজুরি অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে ছিল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ঘোষিত প্রথম গ্রেডে নতুন মজুরি করা হয় ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা। কিন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মজুরি হওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। সেই হিসেবে মজুরি ২ হাজার ৪০৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ কমেছে। এভাবে নতুন কাঠামোতে মজুরি সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতে অনেক অগ্রগতি হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে। শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি পর্যাপ্ত দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে না। নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে। ‘বাস্তবে মজুরি কমে গেছে বলে ধারণা করা হতো। আমাদের প্রতিবেদনেও তা ওঠে এসেছে। আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ মজুরি কমে গেছে। সেটি তো বাড়েইনি বরং যারা আন্দোলন করেছে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’ ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আইনি ও প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। যার অধিকাংশই মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে করেন তিনি। বেসরকারি এই গবেষণা সস্থাটি আরও জানায়, পোশাক খাতে অধিকাংশ সাব কন্ট্রাক্টর নির্ভর কারখানায় নূন্যতম মজুরি দেয়া হয় না। এছাড়া নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের মূল মজুরির বৃদ্ধি ২৩ শতাংশ দাবি করা হলেও প্রকৃত হিসাবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম। এছাড়া মজুরি বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন করায় পাঁচ হাজার শ্রমিককে আসামি করে ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। ১৬৮টি কারখনায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।





আরো খবর