শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪১:৫৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

গোপালপুরে বেড়াতে এসে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষিত

মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক পাকিস্তানি কিশোরী (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর গোপালপুর গ্রামে। প্রথমে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামে। সেখানেই ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী। মঙ্গলবার রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোরে ওই কিশোরীকে জামালপুরের মহিষাকান্দি গ্রাম থেকে উদ্ধার করে গোপালপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর চাচাতো ভাই আল আমীন (১৯) কে প্রধান আসামী করে তার মা আনোয়ারা বেগম (৪৭) ও অজ্ঞাত আরো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামতসহ প্রতিবেদন দিতে সময় লাগবে। জানা যায়, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের এক বাসিন্দা প্রায় ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই তিনি এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে সন্তান হয়। করাচীতে তার একটি গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। গত পাঁচ বছর আগে কিশোরীর বাবা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে তার স্ত্রী মেয়েকে সঙ্গে করে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। উত্তর গোপালপুর গ্রামে তার ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে ওঠেন তিনি। কিছুদিন পর থেকেই ওয়াদুদের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই নারী ও তার মেয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এ কথা জানার পর আল আমীন ক্ষুব্ধ হন। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান তিনি। পরে জামালপুরে একটি বাড়িতে আটকে রেখে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন কিশোরীকে। ঘটনা জানার পর বুধবার রাতে কিশোরীরর মা আল আমীন ও তার মাসহ তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামের একটি বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, মেয়েটিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। আল আমীনের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি উর্দূতে কথা বলায় তার জন্য আদালতের কাছে দোভাষী চাওয়া হয়েছে। তার বয়ান ২২ ধারায় রেকর্ড করা হবে।





আরো খবর