বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১১:০০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯ ১২:১১:১৪ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসে বুধবার অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাবিষয়ক দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে (বাপা+৪০) দেশ পর্যায়ের ভাষণে তিনি এ কথা জানান। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০১৫ সালের মে রাজধানী ঢাকায় প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষিণের উন্নয়নে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভা হওয়ার আগেই বাংলাদেশ এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছিল। দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাবিষয়ক দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের এ সম্মেলন আহ্বান করে। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে অনুষ্ঠিত ‘বুয়েন্স আয়ারস প্ল্যান অব অ্যাকশন (বাপা) গৃহীত হওয়ার চল্লিশ বছরপূর্তির কথা মাথায় রেখেই সাধারণ পরিষদ এবারের এ সম্মেলন এখানে আয়োজন করেছে। বাপা+৪০ এর লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে কারিগরি সহযোগিতার বাস্তবায়নকে এগিয়ে নেওয়া। ২০ মার্চ শুরু হওয়া উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ আর্জেন্টিনা। এটি ২২ মার্চ শেষ হবে। বাংলাদেশ এ সম্মেলনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সম্মেলনটির উচ্চ পর্যায়ের প্ল্যানারিতে কিছু সময়ের জন্য সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও এর সম্ভাবনা উন্মোচনের পাশপাশি দক্ষিণে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে উন্নয়ন, অর্থ, অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠন করা। এছাড়া, তিনি রাজধানী ঢাকায় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্র সর্বশেষ প্রযুক্তি হস্তান্তর বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। দক্ষিণের দেশগুলোর বিপুল সংখ্যক নাগরিক প্রবাসে বসবাস করছেন, উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী এই নাগরিকরা যাতে তাদের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সম্পদ ব্যবহার করে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন সে লক্ষ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা যেতে পারে। এর আগে এটুআই ও জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাবিষয়ক কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীবিষয়ক একটি সাইড ইভেন্টে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইভেন্টটিতে তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী খাতে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি উত্তম অনুশীলন, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বিনির্মাণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, শিক্ষা বিনিময় ইত্যাদি কার্যক্রমে দক্ষিণের দেশগুলোর অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এসপেনোসা গার্সেজ, জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড জালকালিয়ানি এবং গুয়েতেমালার পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার জাইরো ডি এসট্রাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে নিজ নিজ দেশের দৃষ্টিভঙ্গি ও উন্নয়ন প্রচেষ্টাগুলোর নানা দিক তুলে ধরা হয়।





আরো খবর