জাতীয় / আমাদের আবার মারবে কে, এরকম একটা ভাব ওদের থাকে
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩০:৫৫ অপরাহ্ন
আমাদের আবার মারবে কে, এরকম একটা ভাব ওদের থাকে
বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশের তালিকায় নিউজিল্যান্ডের নাম খুব উপরেই। কিন্তু সেই নিউজিল্যান্ড এখন হত্যাপুরী। ক্রাইস্টচার্চের বাতাসে রক্তের গন্ধ। শহরে লাশের মিছিল।
‘দুই-তিন মিনিটের হেরফের’ হলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হতো আক্রমণ। হামলার সময় মসজিদের কাছেই ছিল বাংলাদেশ দল। প্রাণে বেঁচে ফিরেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ওই সময় ক্রিকেট দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য। নিউজিল্যান্ড বোর্ডের এমন ‘উদাসীনতায়’ সমালোচনা হচ্ছে বেশ। বাংলাদেশের বোর্ড প্রধান অবশ্য সমালোচনার পথে হাঁটলেন না, জানালেন সংস্কৃতির কথা।
‘‘আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যান, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা যান, ওদের একেক জায়গায় একেক রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লন্ডনে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছিলো, সেখানেও নিরাপত্তা বলতে নাম মাত্র। সেখানে পুলিশ-বন্দুক-গাড়ি, এগুলো দেখাই যায় না। এটাই ওদের নিয়ম, এটাই ওদের সংস্কৃতি। ওখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাও একই রকম। সিঙ্গাপুরে আমার নিজের অভিজ্ঞতা, রাষ্ট্রপতি যায় শুধু একটা মোটরসাইকেল নিয়ে। এটাই ওদের নিয়ম।’’ – বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন।
এর আগে দেশের বাইরে সফরে বাড়তি নিরাপত্তা জন্য একাধিকবার দাবি করেছে বিসিবি। সুফল যে বিসিবি পায়নি তা বোঝা গেল বোর্ড প্রধানের কথায়,‘আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, আমরা যখন নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলতে যাই, ওদের ধারণা আমাদের কেউ কিছু করবে না। যেনো যতো ভয় ওদের! আমাদের আবার মারবে কে, এরকম একটা ভাব ওদের থাকে। ওরা মনে করে, নিরাপত্তা ওদের বেশি দরকার। মাথার মধ্যে ওদের এটাই চিন্তা।’
নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করেন নাজমুল হাসান,‘একবার এক দেশে আমি সিকিউরিটির কাউকে না দেখে বললাম, কই তোমার দেশের কোনো সিকিউরিটির লোক তো দেখি না? তখন আমাকে বলেছিলো যে, তুমি যদি দেখতেই পাও, তাহলে সেই সিকিউরিটি রেখে লাভ কী! আমি জানি না তারা দুষ্টুমিই করে কি না।! এটাই ছিলো ওদের সাড়া।’
বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের যে চিত্র তাতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় এ দাবি আরও জোড়াল হচ্ছে। টনক নড়েছে বিসিবির। বোর্ড প্রধানও বলছেন,‘ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে। এতোদিন ওদের কথাই তো বিশ্বাস করতাম। কিন্তু ভবিষ্যতে না বুঝে না দেখে যাওয়া যাবে না।’