শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:৩৬ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ০৯:৪৯:৪৭ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সেই ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে 'কেমিক্যালের' পাহাড়

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে এখন শত শত কনটেইনার এবং প্যাকেট ও কন্টেইনারভর্তি কেমিক্যাল মজুত রয়েছে। ফলে বুধবার রাতে লাগা আগুন ভবনের বেজমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছালে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা ও নির্মমতা মাত্রা হতো কল্পনাতীত। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ওয়াহিদ ম্যানশনে কোনো কেমিক্যালের গোডাউন ছিল না। কিন্তু আজ শুক্রবার ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে গিয়ে দেখা মেলে শত শত ড্রাম, বিভিন্ন কন্টেইনার ও প্যাকেটে নানা ধরনের কেমিক্যাল। রং তৈরিতে ব্যবহৃত হতো এসব কেমিক্যাল, পাউডার এবং লিকুইড। কেমিক্যালে ভরপুর পুরো বেসমেন্ট। ওয়াহিদ ম্যানশনের বেসমেন্টের শত শত বস্তা প্যাকেট ও কন্টেইনারে রয়েছে রঙের পাউডার। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এসব পাউডার উচ্চ দাহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। তাদের দাবি, এই ভবনটিতে শুধু অননুমোদিতভাবে রাসায়নিক মজুত করা হয়েছে তাই নয়, এমনকি মজুত করার ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনো নিয়মকানুনও। চুড়িহাট্টার চৌরাস্তার সামনে লাগা আগুন যদি বেজমেন্ট পর্যন্ত আসতো তাহলে আগুনের ভয়াবহতা ও নির্মমতা কোন পর্যায়ে যেতো তা কল্পনাতীত। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে থাকা রাসায়নিকের গুদাম পর্যন্ত আগুন পৌঁছালে বিস্ফোরণের মাত্রা হতো ব্যাপক। এতে আগুন নেভাতে সময় লাগতো অনেক বেশি। ফলে বেড়ে যেতো হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, এই বেজমেন্টে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই ডাইয়িং এবং প্রিন্টিং-এর কাজে ব্যবহৃত হতো। সব কেমিক্যালই বিপদজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে বেজমেন্টে কার পার্কিং থাকার কথা, সেখানে গোডাউন করা হয়েছে, এমনকি গোডাউনে মালপত্র রাখার যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলোও মানা হয়নি। পুরোই নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেজমেন্টে গোডাউনে রাসায়নিক রাখা হয়েছে।





আরো খবর