শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১১:৩৮ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ০১:৫৬:৫১ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেছেন, আমরা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থী একেবারেই কম ছিল। এগুলো নিয়ে এত দিন আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। যারা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিতে শুরু করব। দলীয় সভাপতি (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরে এলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। উল্লেখ্য, টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর বর্তমানে আবুধাবিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার। একাদশ নির্বাচনে কতজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছি। নেত্রী এলেই আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে কাদের বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাদের প্রার্থিতা আমরা রাখব না। বিকল্প প্রার্থী দেব। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সিদ্ধান্ত ব্রেক করা মানেই হল দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা। এর একটা শাস্তি তো রয়েছে। পরবর্তী মিটিংয়ে শাস্তিটা কি হবে এটা নির্ধারণ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামী লীগের ডিকশনারিতে হতাশা বলে কোনো শব্দ নেই। আওয়ামী লীগ হতাশ হতে জানে না। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ভরাডুবি হবে, এ কারণে তারা উপজেলা নির্বাচনে আসছে না। তবে বিএনপির তৃণমূলের অনেকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ভায়োলেট করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নে জবাবে কাদের বলেন, গাইবান্ধায় যাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি যুদ্ধাপরাধী বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী নতুন নামে মাঠে আসার পরিকল্পনা করছে- বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘নতুন বোতলে পুরাতন পানীয়’ এমন যদি হয়; নাম পরিবর্তন করবে কিন্তু আদর্শ একই এবং অটুট থাকবে তাহলে সেটা পরিবর্তন কি? নাম পরিবর্তন করলে কিন্তু নীতি আদর্শ পরিবর্তন করলেন না, তাহলে পরিবর্তন কী হল?। এটাকে পরিবর্তন বলা চলে না। এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উপযুক্ত সময় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সব সময়কে উপযুক্ত সময় মনে করি। এখানে আদালতের একটা সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে সেটাকে তো আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা।





আরো খবর