শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৩:০৯ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সাংবাদিক ভাস্কর ভাদুরীকে অভয় দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করা যমুনা টিভির সিনিয়র সাংবাদিক ভাস্কর ভাদুরীকে অভয় দিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা শেষে বের হয়ে যাওয়া পথে ডেকে নিয়ে এই সাংবাদিককে তার স্বাভাবিক কাজ নির্ভয়ে চালিয়ে যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানতে চাইলে ভাস্কর ভাদুরী বলেন, প্রথমে আপা (প্রধানমন্ত্রী) আমার কাছে জানতে চাইলেন- সেদিন কী হয়েছিল। আমি বিস্তারিত বললাম। তখন আপা বললেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তুমি তোমার কাজ নির্ভয়ে চালিয়ে যাও। 'উনারা যদি এভাবে সাংবাদিকদের ‘খোমোশ’ বলে থামিয়ে দিতে চান তাহলে তারা ক্ষমতায় এসে কী বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে তা মানুষের জানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা' উল্লেখ করেন সাংবাদিক ভাস্কর। এসময় আওয়ামী লীগে থাকা অবস্থায় ড. কামাল হোসেনের অপ্রীতিকর নানা আচরণের বিষয়েও ভাস্করসহ উপস্থিতদের জানান প্রধানমন্ত্রী। ভাস্কর জানান, তার সঙ্গে ৫-৭ মিনিট কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন স্নেহশীল আচরণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভাস্কর। ১৪ ফেব্রুুয়ারি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর রেগে যান ড. কামাল হোসেন। জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে ড. কামালকে তার অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর চটে যান। সাংবাদিকদের কথার জবাব না দিয়ে বরং পাল্টা প্রশ্ন করেন ড. কামাল। বলেন, কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্নগুলো করতে? তিনি আরও বলেন, চুপ করো। চুপ করো, খামোশ। শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিকের নাম জানতে চেয়ে ড. কামাল আরও বলেন, তোমার নাম কী? কোন পত্রিকা। জবাবে ওই সাংবাদিক ‘যমুনা’ বললে তিনি জবাব দেন, যমুনা টেলিভিশন, চিনে রাখলাম। সকালে এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। পরেরদিন এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেন।





আরো খবর