সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল রাজধানীর আকাশ। দেখা মেলেনি সূর্যের। এর মধ্যেই হঠাৎ করে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা খুব একটা বেশি না থাকলেও বৃষ্টির পর জেঁকে বসতে পারে শীত।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে কর্মজীবীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না অনেকেই।শীতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
একে তো তাদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই, তার ওপর আবার বৃষ্টি। সব মিলিয়ে ভোগান্তিটা তাদের একটু বেশি।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফেদাইয়ের প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টির পরই শীত জেঁকে বসবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় আবহওয়া দফতরের পূর্বাভসে জানানো হয়েছে, ফেদাই আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার বিকাল নাগাদ কাকিনাদা এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ওই দিনই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঝড় ধীরে ধীরে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে।
রোববার রাতে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফেদাইয়ের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে