বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

হেভিওয়েটদের সঙ্গে নতুনদের লড়াই

জোরেশোরে চলছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নানা ছন্দে, সুরে মাইকিং চলছে পাড়া-মহল্লা থেকে শহরের অলিগলি সর্বত্র। প্রার্থীদের পাশাপাশি মাঠে নেমেছেন দলীয় সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। রংপুরের ৬টি সংসদীয় আসনে এবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন হেভিওয়েট প্রার্থীদের পাশাপাশি অনেক নতুন মুখ। তবে প্রার্থীরা জানান, জয়ের জন্য নির্বাচনের মাঠে হেভিওয়েট বা নতুন প্রার্থী কোনো বিষয় নয়, জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দেবে। নির্বাচনে এবার রংপুর-১ আসনে (গঙ্গাচড়া-আংশিক সিটি) মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিএনপির শাহ মো. রহমতুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোক্তার হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইশা মোহাম্মদ সবুজ এবং স্বতন্ত্র সি এম সাদিক ও আসাদুজ্জামান বাবলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মসিউর রহমান রাঙ্গা ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেইসঙ্গে জাতীয় পার্টির সদ্য মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ আসনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুসহ আরও চারজন রয়েছেন; যার অধিকাংশই নতুন মুখ। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সি এম সাদিক বলেন, ‘হেভিওয়েট আর নতুন প্রার্থী বলে কিছু নেই। ভোটারদের কাছে যিনি প্রিয়, যিনি এ আসনের স্থায়ী বাসিন্দা তাকেই জনগণ নির্বাচিত করবে। ’ রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, বিএনপির মোহাম্মদ আলী সরকার, জাতীয় পার্টির আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, স্বতন্ত্র আনিছুল ইসলাম মণ্ডলসহ ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে ডিউক চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী সরকার ও আনিছুল ইসলাম মণ্ডল এর আগেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে অন্যরা এবারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর-৩ (সদর-সিটি) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে লড়বেন সংসদ নির্বাচনে নতুন মুখ বিএনপির রিটা রহমান, জাসদের সাখাওয়াত রাঙ্গা, প্রগতিশীল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাব্বির আহম্মেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাসদের আনোয়ার হোসেন বাবলু, জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন আলম, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ছামসুল হক। ১৯৯১ সাল থেকে এ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। তরুণ ভোটার নাজমিন খাতুন বলেন, ‘রংপুর সদর আসনে এরশাদ পরিচিত মুখ। তাকে সবাই চেনেন। নির্বাচনে ফেসভ্যালু বা অভিজ্ঞ প্রার্থী অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ’ বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান বলেন, ‘জয়ের জন্য হেভিওয়েট প্রার্থী কোনো বিষয় নয়। কে জয়ী হবেন তা নির্ভর করে জনগণের রায় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। ’ রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুবারের সংসদ সদস্য টিপু মুনশির সঙ্গে লড়বেন বিএনপির এমদাদুল হক ভরসা, জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম বেঙ্গলসহ আরও তিনজন। মূলত প্রধান তিনটি দলের মধ্যে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সংসদ সদস্য টিপু মুনশি বলেন, ‘হেভিওয়েট প্রার্থী কোনো বিষয় নয়। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণের জন্যই কাজ করে গেছি। আমি মনে করি এবারের নির্বাচনে জনগণ আমাকেই নির্বাচিত করবে। ’ রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের এইচ এন আশিকুর রহমান এমপির সঙ্গে লড়ছেন বিএনপির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জাতীয় পার্টির এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরসহ আরও তিনজন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আশিকুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছেন। তরুণ ভোটার নাহিদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পরিসংখ্যানে পুরাতন বা হেভিওয়েট প্রার্থীরা একটু এগিয়ে থাকেন। এর মূল কারণ তাদের পূর্বপরিচিতি। তবে ভোটাররা যদি মনে করেন, তারা নতুন বা তরুণ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেবেন তাহলে ফলাফল পাল্টে যেতেও পারে। ’ জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে কিছু নেই। জনগণের রায়ই সব। ’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ‘এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এ আসনের সর্বোচ্চ উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। আশা করি এবারও জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে। ’ রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে লড়বেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ আরও চারজন; যার অধিকাংশই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছেন। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে এ আসন থেকে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।





আরো খবর