শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

কামাল মজুমদারের ‘৫ কোটি টাকার অস্ত্র’ নিয়ে তোলপাড়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেয়া হলফনামার একটি কলামে ‘৫ কোটি টাকার অস্ত্র’ থাকার তথ্য উল্লেখ করেছেন ঢাকা-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার। তার হলফনামার সূত্র ধরে গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এরপরই তিনি এ বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় কামাল মজুমদার বলছেন ওই তথ্যটি সঠিক নয়। তিনি যে পাঁচ কোটি টাকার তথ্য দিয়েছেন তা তার অন্যান্য ব্যবসাবহির্ভূত সম্পদ ও পরিসম্পদের সঙ্গে অস্ত্রের মিলিত মূল্য। এর মধ্যে তার কাছে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার টাকার অস্ত্র আছে। যার মধ্যে অনেক বছর আগের একটি পিস্তল যার মূল্য ধরেছেন ২২ হাজার টাকা। আর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি শটগান আছে। যা ২০০৯ সালের সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি একই মূল্য ধরে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করছেন এর বাইরে কোনো বৈধ বা অবৈধ অস্ত্র তার কাছে নেই। রোববার একটি দৈনিকের কাছে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার হলফনামা থেকে অস্ত্রের বিষয়টি না বুঝে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এই এমপি। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হলফনামার অস্থাবর সম্পদের বিবরণীর একটি অংশে লেখা আছে অন্যান্য, পিস্তল ও শটগানসহ ৫ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৩ টাকা। কিন্তু এই পরিমাণ টাকা শুধু পিস্তল ও শটগানের মূল্য হিসেবে ধরা হয়নি। এখানে অন্যান্য কিছু খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন সেট ও ল্যান্ডফোনের মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আর বাকি ৫ কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৩ টাকা দেখানো হয়েছে ব্যবসাবহির্ভূত সম্পদ ও পরিসম্পদ। কামাল মজুমদার বলেন, এই নিয়ে আমি ছয়বার সংসদ নির্বাচন করছি। আমি জনগণের জন্য কাজ করছি। আমার এলাকার প্রতিটি উন্নয়নে আমার ছোঁয়া আছে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আমাকে পছন্দ করে। তাই আমার কোনো ভয় নাই। কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই চলাফেরা করি। দুটো শটগান আছে কিন্তু ব্যবহার করতে হয় না। আর পিস্তলটাও এখন আমার কাছে নাই। নয়াপল্টনের একটি দোকানে দিয়েছি। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে একটা পিস্তল আনার অনুমতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলাম। পরে আর আনা হয়নি।





আরো খবর