ভিকারুননিসার শিক্ষক হাসনা হেনা মুক্তি না পেলে প্রয়োজনে তার সহকর্মীরাও অনশনে যাবেন-এমন আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের নেতৃত্বে শিক্ষকরা এসে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে বলেন।
নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে গত চার দিন ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছিলেন তার শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস শিলা বলেন, আমরাও চাই হেনা আপার মুক্তি। তিনি নির্দোষ।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা তার মামলা প্রত্যাহার ও সসম্মানে মুক্তি চাচ্ছি।
‘কাজেই তোমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এটি আইনগত প্রক্রিয়া; এখন হার্ডলাইনে যাওয়ার বিষয় নয়, যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে এ যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আমরাও অনশন ও আন্দোলনে যাব।
রোববার দুপুরে শিক্ষিকার মুক্তির দাবি চেয়ে কলেজের শিক্ষার্থী পমি, লামিয়া, মৃত্তিকার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়।।
অরিত্রি যে শ্রেণিতে পড়ত, সেই নবম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদ, তার এমপিও বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
হাসনা হেনার পাশাপাশি ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতারও বরখাস্ত হয়েছেন। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারীর মামলায় তারাও আসামি।
অরিত্রি গত সোমবার আত্মহত্যা করার পর থেকে উত্তেজনা চলছে রাজধানীর নামি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
অভিযোগ উঠেছে-পরীক্ষার সময় অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে অপমান করেছিলেন অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রি রোববার বার্ষিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিল।