শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:২১ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০ ১১:৪২:৫৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি আহ্বান

করোনাভাইরাসের টিকা কেনার ক্ষেত্রে জনসংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা-২০২০-এর অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রী কামালের নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার এ সভায় অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কোভিড-১৯ টিকা কেনার জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য দ্রুত ঋণ মঞ্জুরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য হার্টউইগ শ্যেফারের সহযোগিতা কামনা করেন।

অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের গৃহীত দ্রুত ও সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট টিকার জন্য ঋণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব জনগণের প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বর্তমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের আইডিএ-১৯-এর আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত হিসেবে করোনার টিকা আমদানি/ক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

কোভিড-১৯-এর কারণে সংঘটিত দেশের বিভিন্নমুখী ক্ষয়ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৫০ কোটি ডলারের মধ্য থেকে বর্তমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জরুরিভিত্তিতে অন্তত ২৫ কোটি ডলার ছাড় করতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর অনুরোধও জানানো হয়।

এ ছাড়া, সভায় চলমান করোনা মহামারিজনিত কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় কিস্তির ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসেবে দ্রুত ছাড়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে।

অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার সভাকে জানান, জবস ডিপিসির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলীর বেশিরভাগই ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শর্তাবলীও সহসাই পূরণ করা সম্ভব হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনাকালে বলেন, আইডিএ-১৮-এর আওতায় বাংলাদেশ কোর আইডিএ থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এসইউএফ থেকে আরো দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একক সর্বোচ্চ পরিমাণ।

সচিব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করায় আইডিএ-১৯-এর আওতায় বাংলাদেশকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অধিক পরিমাণে বরাদ্দ প্রদানের অনুরোধ করেন।






আরো খবর