মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৬:১১ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯ ০৯:৩৭:৩৩ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

চালকের বাস চালানোর লাইসেন্স ছিল না

রাজধানীর বসুন্ধরার নদ্দায় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত বাসের চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল ১০টা থেকে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসসহ (বিইউপি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। এ সময় তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে আবরারের নামে একটি পদচারী–সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। মেয়র বলেন, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে চালক সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তাঁর হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তাঁর দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের সব বাসের সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মেয়র জানান, তাঁদের দাবি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রদের ফিরে যেতে বলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। ঘটনার পর সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে গতকাল রাতে এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়। এ ঘটনার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসচালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকেরা যেন যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী–সেতু স্থাপন।





আরো খবর