বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৩ মে ২০১৯ ০৩:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

অভিবাসীরা পরিস্থিতির শিকার

লিবিয়া থেকে ইউরোপে পৌঁছার আশা নিয়ে ছেড়ে আসা আরো একটি বোট ডুবে গেছে ভূমধ্যসাগরে। এতে অনেক অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। এর মধ্য দিয়ে অভিবাসীদের অব্যাহত দুর্দশাময় পরিণতির বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে। অনলাইন গালফ টুডে’তে প্রকাশিত এক মতামত কলামে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন, অস্থিতিশীলতা ও ক্রমবর্ধমান অসমতার মতো অনেক ফ্যাক্টরের কারণে লাখ লাখ মানুষ উন্নত জীবনের আশায় নিরাপত্তা খুঁজতে ঝুঁকিময় সফরে এ পথে নামে। অভিবাসন অপরাধ নয়। এটি বিশ্বজুড়ে একটি ইতিবাচক বিষয়। অভিবাসীরা পরিস্থিতির শিকার। তারা মর্যাদা ও সম্মানের দাবিদার। সর্বশেষ ট্র্যাজেডি নিয়ে তিউনিস আফ্রিক প্রেস এজেন্সি নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৭০ বলে জানিয়েছে। এই বছর ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বোটডুবি বা জাহাজডুবিতে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার একটি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআরের হিসাব মতে, এ বছর প্রথম চার মাসে ওই একই রুটে মারা গেছেন ১৬৪ জন। এটা হতে পারে সংখ্যায় কম। কিন্তু গত বছরগুলোর তুলনায় নিহতের এই হার অনেক বেশি। এ বছর প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন, যারা ইউরোপের উপকূলে পৌঁছার চেষ্টা করেছেন। ইউএনএইচসিআরের ভূমধ্যসাগর বিষয়ক বিশেষ দূত ভিনসেন্ট কোচেটেলের মতে, যারা ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করছেন তাদের সামনে কি ভয়াবহ ঝুঁকি, এই ট্র্যাজেডি ও ভয়াবহতা আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। আফ্রিকার অভিবাসী, যারা ইউরোপ পৌঁছাতে চান, তাদের কাছে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল হয়ে উঠেছে যাত্রা শুরুর প্রধান পয়েন্ট। এমন যাত্রা শুরু করতে পাচারকারীদের তারা দিচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। পাচারের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ইতালির নেতৃত্বে একটি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় এবং লিবিয়ার কোস্ট গার্ডের সহায়তায় যদিও এই পথে অভিবাসী পাঠানো কমে এসেছে, কিন্তু তা থামছে না।





আরো খবর