শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০২:৪২ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ০৩:৫২:০৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আইএসে যোগ দেয়া সেই শামিমার সন্তান প্রসব

লন্ডন থেকে পালিয়ে ইসলামিক স্টেটে (অাইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া ব্রিটিশ তরুণী শামিমা বেগম সন্তান প্রসব করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী শামিমার এটি তৃতীয় সন্তান। তার আগের দুটি সন্তানই অপুষ্টি ও বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার শামিমার পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুঞ্জি জানান- তারা জানতে পেরেছেন শামিমা একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে। তবে এখনো শামিমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি বলে এক বিবৃতিতে জানান ওই আইনজীবী। এদিকে বিবৃতির কিছুক্ষণ পরই ওই আইনজীবী জানান, শামিমা একটি পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন। ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামিমা বেগম। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। আর তার সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী আমিরা আব্বাস। তারও বয়স ছিল তখন ১৫ বছর। আর তা ছাড়া খাদিজা সুলতানা নামের ১৬ বছর বয়সী আরেক বান্ধবীও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারা তিনজনই লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা তিনজন যুক্তরাজ্যের গেটওয়ে বিমানবন্দর থেকে প্রথমে তুরস্কে পৌঁছান। তুরস্কে পৌঁছানোর পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিরিয়ায় যান। সিরিয়ার শহর রাক্কায় কিছু দিন অবস্থানের পরে ২৭ বছর বয়সী ডাচ নাগরিক এক আইএস যোদ্ধার সঙ্গে শামিমার বিয়ে হয়। ওই ব্যক্তি অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। বিয়ের পর ওই ব্যক্তির সঙ্গেই ছিলেন শামিমা। সেখান থেকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই তার। সিরিয়ায় ওই এলাকাটি ছিল ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। এর আগে ২০১৪ সালে শামিমার আরও একজন বান্ধবী পূর্ব লন্ডন ছেড়েছিলেন। তিনিও গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হতে তারা তিন বান্ধবী ২০১৫ সালে লন্ডন ছাড়েন। অন্যদিকে ২০১৬ সালের মে মাসে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, খাদিজা সুলতানা সিরিয়ার রাকায় বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ওই রাকা হলো আইএসের শক্ত ঘাঁটি। খাদিজার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শামিমা। তা সত্ত্বেও অন্যরা সিরিয়ার বাঘুজ এলাকার যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ওই সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজেদের ইচ্ছায়, সিঙ্গেল নারী হিসেবে। কারণ, তখন তাদের স্বামীরা নিহত হয়েছেন। প্রতিবদনের একটি অংশে দাবি করা হয়, পালিয়ে যাওয়া ওই তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই বিয়ে করেছিলেন আইএসের বিদেশি একজন যোদ্ধাকে।





আরো খবর