সৌদি আরবের জাতীয় পারিবারিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ড. মাহা আল মুনিফ বলেছেন, রাহাফ আল কুনুনের বিষয়টি পুরোপুরি পারিবারিক। সে এখনও কিশোরী, বয়স কম।
তিনি বলেন, বয়স কম হওয়ার কারণে সে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সম্ভাব্য সহজ উপায়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে ফেলা উচিত। এটি একটি রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে পরিণত করা উচিত হবে না।
আল আরাবিয়ার খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিশ্বব্যাপী নির্যাতন শিকার হওয়া নারীদের জন্য লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন পরিবার থেকে পালিয়ে আসা সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, আজ ও আগামী দিনগুলোতে আমি বিশ্বজুড়ে নারীদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। কানাডায় আসার পর প্রথম দিন আমি যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি, ঠিক সেভাবেই নারীদের হয়ে লড়াই করব।
সৌদি আরবে জীবনের হুমকি নিয়ে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন রাহাফ। কানাডার সরকার তাকে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে আশ্রয় দিয়েছে।
সৌদি আরবে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কায় ব্যাংকক বিমানবন্দরে হোটেল কক্ষে নিজেকে ব্যারিকেড দিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কাড়েন ১৮ বছর বয়সী এ তরুণী।
তার আশঙ্কা ছিল- সৌদি আরবে তাকে ফেরত পাঠালে পরিবার তাকে হত্যা করতে পারে। যদিও তার পরিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাহাফ বলেন, পরিবার আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। আমার নিজেকে ও আমি কী হতে চেয়েছি, তা মেনে নেয়া হয়নি।