বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০১:১৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৭:১৭ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

এসএসসির ফল ৬ মে’র মধ্যে

আগামী ৬ মে’র মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ১২ মে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। এখন ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। তাতে আগামী ৪ থেকে ৬ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবার এসএসসি পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। ফল প্রকাশের আগেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ মে থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হবে। ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি শেষ করে ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। এবারও কলেজের সব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে এবার আবেদন নিশ্চায়ন (রেজিস্ট্রেশন) ফি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ১৯৫ টাকা করা হচ্ছে। ভর্তিতে বিলম্বের ভর্তি ৫০ টাকার স্থলে ১শ’ ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের (ইয়ারলস) ফি ১শ’ টাকার পরিবর্তে দেড়শ’ টাকা দিতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ অন্যান্য ফি গত বছরের মতোই রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তিকালে কলেজ-মাদ্রাসাগুলো কত টাকা নেবে, তা আগেভাগেই নোটিশ দিয়ে ঘোষণা করতে হবে। প্রতারণা করে ঘোষণা ছাড়া ভর্তির পর অর্থ নিলে এবং তার অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবারও তিনটি ধাপে নেয়া হবে আবেদন। প্রথম ধাপে আবেদন করা যাবে ২৩ মে পর্যন্ত। এ পর্যায়ে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই এ আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হতে হবে। অনলাইন ও মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ভর্তির আবেদন করা যাবে। অনলাইনে সর্বনিু ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস ও অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। কলেজ পছন্দের ঝক্কি দূর করতে এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদ-বদল করা যাবে। ভর্তির জন্য কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে। নীতিমালায় একাদশ শ্রেণীতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য সব মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলামাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিলিংয়ের মধ্যে প্রত্যেককে থাকতে হবে। ভুয়া ভর্তি ও নিশ্চায়ন বন্ধে একটি মোবাইল থেকে একটি আবেদন হবে, যাতে অভিভাবক হিসেবে বাবা অথবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যুক্ত করতে হবে। একটি নম্বরের বিপরীতে একাধিক আবেদন করা যাবে না। প্রতারক কলেজ কর্তৃপক্ষের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার্থে এ পন্থা বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। এবার ভর্তির সব আসনেই মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। তবে বিভিন্ন কোটার মধ্যে আছে- মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাজধানীতে ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরে ৩ শতাংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব দফতরে ২ শতাংশ, বিকেএসপিতে ০.৫ ও প্রবাসী ০.৫ শতাংশ ভর্তি করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।





আরো খবর