রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসা থেকে ফাতেমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ শনিবার ভোরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নুল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
পুলিশের দাবি, ফাতেমা বেগম দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ ছাপড়া মসজিদ এলাকার একটি বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর থানায় চারজনের নামে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এসআই জয়নুল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ফাতেমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমি সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রেখে আসি।’
‘এর আগে ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে স্বামী মো. সোহেল শেখের সঙ্গে ওই ধর্ষণের অভিযোগে মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফাতেমার ঝামেলা হয়, তখন স্ত্রীকে মারধরও করেন স্বামী সোহেল শেখ। এ ছাড়া এসব নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হত। সোহেলের পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।’
জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, ‘স্বামী সোহেলের দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাস ধরে বাড়িওয়ালা আলী আহমদ, রানা, আলমগীর ও নাজমুল তাঁর স্ত্রীকে নানা সময়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু এই কথা তার স্ত্রী ভয়ে কাউকে বলেনি। এই সুযোগে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার তারা এটি করেছে। চলতি মাসে সোহেল এসব ঘটনা জানতে পারেন। পরে গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণখান থানায় ফাতেমা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এসব কথা সোহেলের কাছ থেকেই শুনেছি। সেই মামলায় আলী আহমেদ ও রানা বর্তমানে কারাগারে আছে।’
এসআই বলেন, ‘সোহেল ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি, ফাতেমা ওই মামলার সাক্ষী বা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইতেন না। তাই নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। ফাতেমার সঙ্গে সোহেলের এটি তৃতীয় বিয়ে। আর ফাতেমার দ্বিতীয় বিয়ে।’
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নোয়াখালী থেকে ফাতেমার বাবার বাড়ির লোকজন আসছে। তারা আসার পর বোঝা যাবে, মামলা হবে নাকি হবে না।’