বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:০৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

কুমিল্লায় পরিত্যক্ত ভবনে পলিথিন টানিয়ে পাঠদান

কুমিল্লা: একতলা ভবনের উপরে ছাদ আর ছাদের নিচে পলিথিন টানিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পাঠদান। মাঝে মধ্যেই ধসে পড়ছে ছাদের পলেসতারা ও ইট পাথর। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ ভেদ করে পড়ছে পানি। এমনিই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রেণি কার্য পরিচালিত হচ্ছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের লনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, নব্বইর দশকে সারা দেশে যে সকল বেসরকারি রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গড়ে উঠে তারমধ্যে চান্দিনা উপজেলার লনাই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি। ২০১৩ সালে সরকার সারা দেশের ২৬ হাজার রেজিষ্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করায় ওই বিদ্যালয়টিও সেই তালিকায় স্থান পায়। রেজিষ্ট্রার্ড বিদ্যালয় থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হলেও বিদ্যালয়টিতে গড়ে উঠেনি কোন সরকারি ভবন। বিদ্যালয়ের শুরুর দিকে নির্মিত এক তলা ভবনটি প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরের পর ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচজন শিক্ষকের বিপরীতে ১৮৭জন শিক্ষার্থী রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর ও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ৭ বছর পূর্বে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের স্থান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পলিথিন টানিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া জানান, ১৯৯৪ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মানের ১০-১২ বছর পরই পলেস্তারা ধ্বসে পড়া শুরু হলে ২০১০ সালে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে দুই কক্ষ বিশিষ্ট দো-চালা টিনের ঘর এবং দুই বছরের স্লিপের টাকায় আরও একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হলেও শিক্ষার্থীদের জায়গা না হওয়ায় স্থানীয়দের পরামর্শে বাধ্য হয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চালাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান মোটেও উচিত নয়। ওই ভবনটির স্থানে চারতলা ফাউন্ডেশনের পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট নতুন ভবনের বরাদ্দ এসেছে। আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।





আরো খবর