প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
পেঁয়াজের দর বাড়ছেই
ঢাকা: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই। মৌসুমী সবজির দর অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি। বিশেষ করে পেঁয়াজের দর বেড়েই চলছে। তাছাড়া মাছের বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ভোক্তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যবসায়ীরা বলে আসছিলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসলে দর কমতে শুরু করবে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ দেখা গেলেও দর কমছে না। বরং বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দর ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। গত সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা।
এর আগে, নভেম্বরের শুরুতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০০ টাকায়। আমদানির ঘাটতির কারণ দেখিয়ে পাইকারি-খুচরা দুই বাজারেই দাম বহুগুণ বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দর বাড়তি থাকার পেছনে বাজারে কোনো ধরনের মনিটরিং না থাকার অভিযোগ এনেছেন ক্রেতারা। আমদানিকারক ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও মনে করেন তারা। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনই দাম কমার কোনো পূর্বাভাস তাদের কাছে নেই।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের দামও চড়া।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা দরে। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হাতিরপুল বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন মৌসুমের অল্পস্বল্প পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে কিছু দিন পর। তখন কিছুটা কমতে পারে। তবে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণ হতে সময় লাগবে। তাই দ্রুত দাম নাও কমতে পারে।
এখন ভারতের বাইরে অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানি করে পেঁয়াজের বাজার সামাল দেওয়ার সুযোগ দেখছেন না আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগবে। পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ নেই। কারণ, দাম সেখানেও চড়া।