শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২০

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৮ ০১:০১:৪৩ অপরাহ্ন

স্টিফেন হকিং সত্যি কি মারা গেছেন?

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কি মারা গেছেন? চক্রান্তকারীদের এমনই বিস্ফোরক দাবিতে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিশ্বখ্যাত কিংবদন্তি বিজ্ঞানীর মৃত্যুকে ষড়যন্ত্রকারীরা সত্যি বলে বলেই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। গত ৯ জানুয়ারি ৭৬তম জন্মদিন পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে কঠিন রোগে আক্রান্ত হকিং। কিন্তু চক্রান্তকারীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশ্বাস করাতে সফল হয়েছেন যে, কয়েক দশক আগেই পরলোক গমন করেছেন প্রফেসর হকিং। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর গবেষণা ও অনুমানের তথ্য সামনে এসেছে। পৃথিবীর অস্তিত্ব ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তিনি। তাহলে কীভাবে তা সম্ভব হল। অনেকের বিশ্বাস, হকিনের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে আনতে চাননি সমাজের উচ্চস্তরের রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা এবং কয়েকজন বিজ্ঞানী। তারাই হকিংয়ের স্থানে তারই মতো দেখতে একটি কৃত্রিম মুখ বসিয়ে দিয়েছেন। আর এত বছর ধরে জনসাধারণ তাকেই বিজ্ঞানী হকিং বলে মেনে আসছেন। ইংরাজি সংবাদমাধ্যম ‘মেল ওয়ান’-এর এমন খবরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। যারা বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানী হকিং আর নেই, তাদের মতে ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তার বই ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম।’ তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৫ সালেই মৃত্যু হয়েছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওরিটিক্যাল কসমোলোজি গবেষণা সেন্টারের ডিরেক্টর হকিংয়ের। ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের পক্ষে চারটি তথ্য তুলেছেন, যাতে প্রমাণ হয়, সত্যিই স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। চেহারা যে ব্যক্তি এমন দুরারোগ্য ব্যধীতে দীর্ঘদিন ভুগছেন তাকে ১৯৮২ সালে যেমনটা দেখতে ছিল, তার তুলনায় ২০১৭ সালে অনেক কম বয়সি মনে হয়। যা একেবারেই সম্ভব নয়। তাছাড়া বার্ধক্যের সঙ্গে কোনও ব্যক্তির কানের আকার ছোট হয় না। তাছাড়া এত বছরে দাঁতেরও কোনও ক্ষয় না হওয়ার বিষয়টিও অবাস্তব। অনেক ফটোতে খুব কাছ থেকে দেখা গিয়েছে তার নিচের চোয়ালের দাঁতগুলি আগের চেয়ে বর্তমানে বেশি লম্বা। শারীরিক অবস্থা ALS রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তি সাধারণত রোগ ধরা পড়ার চার বছরের বেশি বাঁচেন না। তার রোগ ধরা পড়েছিল ১৯৬৩ সালে। অর্থাৎ তারপরও ৫৫ বছর বেঁচে থাকা মিরাকলের চেয়ে কম কিছু নয়। বিয়ের ছবি প্রথম স্ত্রী জেন উইল্ডির সঙ্গে বিয়ের ছবিতে স্বাভাবিকই লেগেছে হকিংকে। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী ইলেইন ম্যাসনের বিয়ের ছবিগুলি খতিয়ে দেখে ষড়যন্ত্রকারীরা বলছেন, সেখানে অনেকটাই বয়স বেশি দেখাচ্ছে হকিংয়ের। ভয়েস সিন্থেসাইজার কমপিউটরের সাহায্য নিয়েই হকিংয়ের গলার স্বর বাইরে আসে। তবে ব্যাখ্যাকারীদের দাবি, যে কৃত্রিম মূর্তি হকিংয়ের স্থানে বসে আছে, সে এসব বিষয়ে অক্ষম। গোটা বিষয়টাই নাসা থেকে চালনা করা হয়। তবে সত্যি যাই হোক না কেন, কিংবদন্তি হকিংয়ের মৃত্যুর খবর ছড়ানোয় জোর ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। -সংবাদমাধ্যম
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com