শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪

প্রকাশিতঃ সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৩:১০:০৩ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক মঙ্গলবার

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সঙ্কটের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তুলে ধরবেন জাতিসঙ্ঘে শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। নিরাপত্তা পরিষদের তিন স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স ছাড়াও অস্থায়ী পাঁচ সদস্য সুইডেন, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কাজাখস্তান ও গিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছে। এর আগে একই ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েক দফা রুদ্ধাদ্বার ও প্রকাশ্যে আলোচনা হয়েছে। দেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সিশাল বিবৃতি। কিন্তু জাতিসঙ্ঘের অপর দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার বিরোধীতার কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। এর আগে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) উত্থাপিত প্রস্তাব আলোচনার পর বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এতে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের একজন বিশেষ দূত নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়। এই বিশেষ দূত নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেটও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের নৈতিক প্রভাব থাকলেও আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দুই সদস্য চীন ও রাশিয়া। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভেটো প্রদানে বিরত থাকার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিকীকরণের পরিবর্তে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের জন্য বাংলাদেশকে উৎসাহিত করে আসছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করলেও বাংলাদেশ বারবার বলে আসছে, আন্তর্জাতিক চাপ সরে গেলে মিয়ানমার তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করবে। এ কারণে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সব ফোরামেই মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সাথে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাবাসনের সার্বিক প্রক্রিয়ায় ইউএনএএইচসিআরের সম্পৃক্ততা চায় সরকার। তবে ইউএনএইচসিআরকে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের আপত্তি রয়েছে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com