প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৮ ০৪:০৭:২৮ অপরাহ্ন
সীমান্ত পেড়িয়ে বাংলাদেশি ধরতে এসে তাড়া খেয়ে পালাল বিএসএফ
বাংলাদেশের ভুখণ্ডে ঢুকে এক বাংলাদেশিকে ধরতে এসে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পালিয়েছে ভারতের বিএসএফ কোম্পানির সদস্যরা।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৩টায় লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শিমুলবাড়ী কোম্পানির পক্ষে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৮ করলার কর্মকর্তারা ভুল স্বীকার করে বিজিবির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
বিজিবি ও সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টায় বালাটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৩২ এর পাশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরের স্থানীয় বাংলাদেশি মিলন মিয়ার একটি ভেল্লী গাছের টুকরা স’মিলে নেয়ার জন্য স্থানীয় বালারহাট এলাকার ভ্যান শ্রমিক হাসু মিয়া (৬০) আসেন।
হাসু মিয়া গাছটি তার ভ্যানগাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করলে ভারতের ৩৮ করলা বিএসএফ কোম্পানির চার বিএসএফ সদস্য অর্তকিতভাবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে শ্রমিক হাসু মিয়াকে ধরে ফেলে টেনে-হিঁচড়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ভ্যান শ্রমিক হাসু মিয়া পাশের একটি গাছ জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা লাঠিসোটা নিয়ে বের হয়ে বিএসএফের হাত থেকে ভ্যান শ্রমিক হাসু মিয়াকে উদ্ধার করে। বাংলাদেশিরা এ সময় বিএসএফকে তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
বিএসএফের হাত থেকে বাংলাদেশিকে উদ্ধারকারী আবু সিদ্দিক মিয়া (৫০) বলেন, ‘আমরা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ না হলে নিরীহ ভ্যান শ্রমিককে মেরে ফেলতো বিএসএফ।’
এলাকাবাসী ও বিজিবির শক্ত অবস্থানের কারণে বিএসএফ এই বালাটারী সীমান্তে একটি বড় ধরনের তাণ্ডব থেকে সরে এসেছে বলে জানান তিনি।
পরে বালাটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৩২/১ এস এর পাশে বিকেল ৩টায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশিকে ধরে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ তাদের ভুল স্বীকার করে বিজিবির কাছে ক্ষমা চায়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুর ই আলম। আর বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের ৩৮ বিএসএফ করলা ক্যাম্প কোম্পানির অ্যাসিস্টেন্ট কমান্ডার বিনোদ কুমার।