শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৪

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৮ ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন

গণতন্ত্র রক্ষায় এরশাদের ভূমিকা ঐতিহাসিক: এলজিইডি মন্ত্রী

মাদারীপুর: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র শেষ হয়ে গেল বলে যারা চিৎকার করছে, তারাই গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়েছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এরশাদ অংশ না নিলে বাংলাদেশের রাজনীতি চলে যেত তৃতীয় শক্তির হাতে। তখন গণতন্ত্র ৫০ বছরের জন্য হারিয়ে যেত। এ নির্বাচনে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে ইতিহাস একদিন তার মূল্যায়ন করবে। শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভায় বঙ্গবন্ধুর বড় বোন চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়াম ও প্রবাহমান ৭১ ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে যাই বলুক না কেনো নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পদ্মাসেতু পরিকল্পনার চেয়ে কাজ এগিয়ে আছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি নূর ই আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টিও প্রেসেডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি সামরিক আইন জারি করেন । শুরু হয় তার স্বৈরাচারী শাসন । সেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেন ছাত্ররা। ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদের বাহিনী গুলি করে। যার বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা ছিল। ছাত্র আন্দোলনের সাথে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com