বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৯

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮ ০৬:২১:০৯ অপরাহ্ন

ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ‘হোতা’ এছাহীসহ চার আসামির জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া রাকিবুল হাসান এছাহী জামিনে মুক্ত হয়েছেন, যাকে এই প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ‘হোতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা গত মঙ্গলবার ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এছাহীর জামিন মঞ্জুর করেন। পাবনা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এছাহীকে গত ১১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ইন্দিরা রোডের যে ছাপাখানায় ছাপা হত তার কর্মচারী খান বাহাদুরের কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা মোটা টাকায় বিক্রি করত এই প্রতারক চক্র। এই চক্রের শীর্ষে ছিলেনেএছাহী। প্রশ্ন বিক্রির জন্য শিক্ষার্থী সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শাহবাগ থানার এই মামলায় এছাহী ছাড়াও চার আসামি জামিন পেয়েছেন। এরা হলেন- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি, সুজাউর রহমান সানা, আজিজুল হাকিম ও তানভীর আহমেদ মল্লিক। এদের মধ্যে সানা ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে, আজিজুল মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে এবং মল্লিক ও রাফি শিশু আদালত থেকে জামিন পান। গত ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের মতো দেখতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে কানে আরেকটি ডিভাইস রাখা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ভর্তি জালিয়াতির তদন্তে নেমে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের মধ্যে রাকিবুল হাসান এছাহীসহ ১১ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া অপর নয়জন হলেন- এছাহীর সহযোগী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বনি ইসরাইল ও মারুফ হোসেন, ঢাকার প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাভিদ আজম তনয়, সাইফুল ইসলাম, এনামুল হক আকাশ, ফারজাদ সোবহান নাফি, আল আমিন চৌধুরী, কাজী মিনহাজুল ইসলাম ও সজীব আহমেদ। ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করে সিআইডি।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com