শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩

প্রকাশিতঃ বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০২:২৮ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে হতাশ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে পাস হওয়া একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম৷ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের ভোটাভুটিতে রেজ্যুলিউশন বা সিদ্ধান্তটি পাস হয়৷ তবে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৩টি, বিপক্ষে তিনটি৷ আর নয় জন সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে৷ অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার হয়ত ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করছে৷ রেজ্যুলিউশনটিতে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নের একটি তালিকা রয়েছে৷ শিশু হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নসহ ঘর ছাড়তে বাধ্য করার মতো বিষয়েরও উল্লেখ আছে তাতে। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তাবটি পাশ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে এতজনের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে একমাত্র ‘১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যার সময়ে ঘটা দেশত্যাগের' সঙ্গে মেলানো যায়৷ গৃহীত সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গা সংকটের ‘মূল কারণ’ নিয়ে কাজ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ এছাড়া জাতিসংঘের তদন্তকারী ও ত্রাণকর্মীদের সহায়তা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে৷ তবে জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত ঠিন লিন প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি একে ‘অনৈতিক ও অপেশাদার’ এবং ‘মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত’ বলে মন্তব্য করেন৷ এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রা'দ আল হুসেইন অধিবেশনে দেয়া তাঁর বক্তব্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে পাওয়া বিভিন্ন নির্যাতনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন৷ ‘পরিবারের সদস্যদের ঘরের মধ্যে রেখে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া’র উদাহরণ তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘গণহত্যার উপকরণ থাকার বিষয়টি কি কেউ অস্বীকার করতে পারেন?’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে গতমাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে ফেরার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি৷ মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান বিশেষজ্ঞ ইয়াংঘি লি বলছেন, মিয়ানমার ইতিমধ্যে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শিবির তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ ফলে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা কেমন পরিবেশে থাকবে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com