প্রকাশিতঃ বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন
প্রবাসী সন্ত্রাসীর নির্দেশে বনানীতে ব্যবসায়ীকে হত্যা: মনিরুল
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়া এক প্রবাসী সন্ত্রাসীর নির্দেশে বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসাইনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউরোপ প্রবাসী এক সন্ত্রাসী ঢাকায় বন্ধু হেলাল উদ্দিনকে (৩৮) ওই ব্যবসায়ীকে হত্যার নির্দেশ দেয়। পরে হেলাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার নেতৃত্বেই ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসাইনকে হত্যা করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ আসে ইউরোপে থাকা প্রবাসী এক সন্ত্রাসীর কাছ থেকে। ২০১৩-১৫ সালে দেশে জ্বালাও পোড়াওয়ের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে দেশে অনেক মামলাও আছে। সে সিদ্দিককে হত্যা করতে বন্ধুকে নির্দেশ দেয়। সিদ্দিক ছাত্রদলের মধ্যম সারির নেতা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়জন অংশ নেয়। হেলাল ছিল পরিকল্পনাকারী ও অপারেশন কমান্ডার। ঘটনার দিন ভেতরে চারজন প্রবেশ করে। যাদের দুজনের মাস্ক পড়া ছিল, একজনের ক্যাপ পড়া ছিল এবং অন্যজনের মুখে কিছুই ছিল না। তারা হত্যাকাণ্ডে ২৫ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করে। এরপর তারা বের হয়ে বাইরে থেকে অফিসের দরজা লাগিয়ে চলে যায়। এসময় হেলাল ও তার আরেক সহযোগী বাইরে দাঁড়িয়ে ঘটনা মনিটরিং করে।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চারজন। তাদের মধ্যে দুজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। তারা হলো- পিচ্চি আল আমিন ও সাদ্দাম। অপর দুই জনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার হেলালকে দশদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেলে তাকে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বনানীর এস মুন্সি ওভারসিজ রিক্রটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হোসাইনকে তার অফিসে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় অফিসের চার জন স্টাফও গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবি উত্তর তদন্ত করছে।