প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন
কলেজ ছাত্র মোমিন হত্যা: ২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলে ছাত্রলীগ (জাসদ) নেতা কলেজছাত্র মোমিন হত্যার আলোচিত মামলায় ২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া। তবে তারা পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, ঠোঁট উঁচা বাবু, আসিফুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার কলেজছাত্র মোমিন হত্যা মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
মতিঝিল থানার সাবেক ওসি এ কে এম রফিকুল ইসলাম এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তিনি কারাবন্দী অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। ওই দিনই নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওসি রফিককে বাদ দিয়ে ২০০৭ সালের ১৩ মে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। বাদীর নারাজির পর মামলাটি ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।
ডিবিও তদন্ত শেষে ওসি রফিককে বাদ দিয়ে ২০০৮ সালের ২ মার্চ অভিযোগপত্র দেয়। পরে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। শেষ পর্যন্ত ওসি রফিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এ অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এ স্থানান্তর করা হয়।
শেষে ২০১১ সালের ২০ জুলাই দেয়া রায়ে ওসি রফিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
১২ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ওসি রফিক মারা যাওয়ায় মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিই রয়েছেন দুজন। তবে তারা পলাতক।