খেলা / আমি সাহস দিয়েছি, বাকি কাজটা করেছে মোস্তাফিজ: মাশরাফি
সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০৪:৪৭ অপরাহ্ন
আমি সাহস দিয়েছি, বাকি কাজটা করেছে মোস্তাফিজ: মাশরাফি
শেষ বলের জয়ে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাহসী বোলিং করে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কে খেলা শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, আমি সাহস দিয়েছি, বাকি কাজটা করেছে মোস্তাফিজ। দলের জয়ে ওকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।
গত রোববার আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানদের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। শ্বাসরুদ্ধকর এমন কঠিন ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ দল।
খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ওর ৫ ওভারের পর থেকেই মোস্তাফিজ বলছিল, ‘ভাই, আমি আর পারব না’। আমার তো মাথায় হাত! আজকে রুবেলও নেই। ম্যাচ তো জিততেই হবে, ওকে আমার লাগবেই। ওর ১০ ওভার তো হিসাব করা আমার। আমি বারবার ওকে বলেছি, পারতেই হবে। বলেছি নিজেকে পুশ করতে। চেষ্টা করেছি ছোট স্পেলে ওকে বোলিং করাতে।
মোস্তাফিজ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা এ অধিনায়ক আরও বলেন, ওর কাফ মাসলে টান লাগছিল। এফোর্ট দিতে পারছিল না, ইয়র্কার পারছিলই না শেষ দিকে। আমি বললাম যে, অন্তত রানআপে আস্তে আস্তে দৌড়ে গিয়ে হলেও কাটার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে। চেষ্টা করেছি সাহস দিতে। তবে আমার কাজ তো ছিল স্রেফ বলা, আসল কাজ সে করেছে। এই অবস্থার মধ্যেও যেভাবে বোলিং করেছে, ওকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।
আমিরাতের প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি টাইগারদের চার দিনে খেলতে হয়েছে তিন ম্যাচ। গরম এবং একটানা খেলার কারণে বিশ্রামের সুযোগ না পাওয়া শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা।
মাশরাফি বলেন, চার দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে, শরীরের জন্য বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময়ই পাওয়া যাচ্ছে না। এটাকে অবশ্য অজুহাত দেয়ার সুযোগ নেই। কষ্ট করেই খেলতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।
অধিনায়ক আরও বলেন, আমারও কষ্ট হচ্ছিল প্রচণ্ড। শরীর সাপোর্ট দিচ্ছিল না। কিন্তু আমি যদি নিজের এসব কথা বলি, অন্যরা আরও দমে যাবে। এ জন্যই চেষ্টা করেছি ওদের যত সাপোর্ট দেয়া যায়। মাঠে শিশির ছিল। শিশির আর ঘামে ভিজে বল ব্যাটে যাচ্ছিল ভালোভাবে। মোস্তাফিজের অন্তত ৬টি কাটার গ্রিপ করেনি। শেষ দিকের ছক্কাটি খেলাম বল গ্রিপ করেনি বলেই। এরপরও শেষ পর্যন্ত ভালোয় শেষ করতে পেরেছি, এটাই আসল কথা।
বাংলাদেশ: ২৪৯/৭ (ইমরুল ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ৭৪, লিটন ৪১, মুশফিক ৩৩; আফতাব আলম ৩/৫৪)।
আফগানিস্তান: ২৪৬/৭ (হাশমতউল্লাহ ৭১, শাহজাদ ৫৩, আসগর ৩৯, নবি ৩৮; মোস্তাফিজ ২/৪৪, মাশরাফি ২/৬২)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)।