গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। পরদিন সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শোচনীয় হার। শুরুতেই চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল, বাকিরাও কমবেশি ইনজুরি আক্রান্ত। কারো কাছ থেকে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না। তবু আশাহত নন বাংলাদেশে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। খেলতে চান এশিয়া কাপের ফাইনালেই।
সব মিলিয়ে সময়, পরিস্থিতি প্রতিকূলে হলেও ভেঙে পড়ার কিছু দেখছেন না মাশরাফি। ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এখনও ফাইনাল খেলা সম্ভব। এখনই এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। টানা দুই হার অবশ্যই নেতিবাচক কিছু। তবে মন খারাপ করে লাভ নেই। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং আমাদের ডুবিয়েছে। সেসব কাটিয়ে উঠতে পারলে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।
এশিয়া কাপের দুইবারের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ। টাইগাররা সবচেয়ে ভালো খেলে এ টুর্নামেন্টেই। তবে এবারের খতিয়ান তা বলছে না। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে উড়িয়ে মিশন শুরু করলেও পরে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। আফগানিস্তানের পর ভারতের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে।
মাশরাফি বলেন, এখনও ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। সামনে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। আফগানদের হারাতে পারলে ফিফটি ফিফটি সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামতে পারব। এখনও আমরা ছিটকে যাইনি। ভুলগুলো সংশোধন করে চেষ্টা করতে হবে। হাতে একদিন সময় আছে। এর মধ্যে সব গুছিয়ে নিতে হবে।
বাঁহাতের কব্জিতে আঘাত পেয়ে আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়েন তামিম। তার পরিবর্তে নেমে ভালো শুরু এনে দিতে পারছেন না নাজমুল শান্ত। যথারীতি ব্যর্থতার ঘেরাটোপে বন্দি লিটন দাস। পারফরম্যান্সে তো দলের সেরা ব্যাটসম্যান না থাকার প্রভাব পড়ছেই। তামিমের অনুপস্থিতিতে ড্রেসিংরুমেও পড়ছে নাকি?
অধিনায়কের সোজাসাপ্টা জবাব, ড্রেসিংরুমে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। আসলে ইনিংসের শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচে ফেরা কঠিন। প্রতি ম্যাচেই শুরুতেই ২/৩ উইকেট পড়ে যাচ্ছে। এরপর ড্রেসিংরুমে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। প্রথম ম্যাচে একই অবস্থা থেকে আমাদের কামব্যাক ছিল দুর্দান্ত। পরের দুটিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররাও ব্যর্থ হয়েছে। স্কোর ২৫০-২৬০ হলে খেলাটা অন্যরকম হতে পারত।