বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ভারতকে কাঁপিয়ে হারল হংকং

নিজাকাত খান ও অংশুমান রাথে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল হংকং। ভারতীয় বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছিলেন তারা। ১৭৪ রানের জুটি গড়ে রীতিমতো ভারতের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন এ ওপেনিং জুটি। এতে ইতিহাস রচনার স্বপ্ন দেখছিল পুচকে দলটি। তবে পরের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যাটে সেই সুরটা তুলতে পারলেন না। ফলাফল যা হওয়ার কথা তাই হলো। স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো হংকংয়ের। দুর্দান্ত কামব্যাকে জিতে গেল ভারত। ২৬ রানের জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে গেল রোহিত বাহিনী। টার্গেটটা ছোট ছিল না, ২৮৬। তবে জবাবে শুরুটা শুভ করেন হংকংয়ের দুই ওপেনার নিজাকাত ও রাথ। দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলেছিলেন তারা। ভারতীয় বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন এ ওপেনিং জুটি। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল নবাগত দলটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। কুলদ্বীপ যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন রাথ। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৯৭ বলে ৪ চারে ৭২ রানের কাঁপন ধরানো ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন হংকং অধিনায়ক। সঙ্গী হারিয়ে স্থায়ী হতে পারেননি নিজাকাতও। খলিল আহমেদের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এ ওপেনার। ১১৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৯২ রান করেন তিনি। তবে নিজাকাত-রাথের এনে দেয়া দুর্দান্ত শুরুর রেশটা ধরে রাখতে পারেননি ক্রিস্টোফার কার্টার ও বাবর হায়াত। মাত্র ৩ রান করে অভিষিক্ত খলিলের শিকার বনে ফেরেন কার্টার। খানিক বাদেই তার পথ অনুসরণ করেন বাবর। ব্যক্তিগত ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের চতুর ডেলিভেরির শিকার হন তিনি। ফলে খেলায় ফেরে ভারত। অন্যদিকে চাপে পড়ে হংকং। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। দলীয় ২২৭ রানে চাহালের গুগলির শিকার হয়ে ফেরেন কিনচিত শাহ। স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন আইজাজ খান। শিকারী সেই চাহালই। দলের এ চরম বিপর্যয়ের মধ্যে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন স্কট ম্যাকেকনি। চায়নাম্যান কুলদ্বীপের স্পিন ভেলকির ফাঁদে পড়ে ধোনির স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। একটু পরই তরুণ তুর্কি খলিলের স্লো ডেলিভেরিতে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এহসান খান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৫৯ রান তুলতে সক্ষম হয় হংকং। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন খলিল ও চাহাল। ২ উইকেট শিকার করেন কুলদ্বীপ। এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে ভারত। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিখর ধাওয়ান (১২৭)। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ১২০ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় এ ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। এর মাঝে হাফসেঞ্চুরি করেন আম্বাতি রাইডু (৬০)। প্রথমদিকে ভালোই রান ছিল রোহিত বাহিনীর। এক পর্যায়ে ২ উইকেটেই ২৪০ রান করে ফেলেন তারা। তবে ধাওয়ান ফেরার পরই মড়ক লাগে ভারতীয় শিবিরে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ধোনি। শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ৩৩ ও কেদার যাদবের ২৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। হংকংয়ের হয়ে কিনচিত শাহ নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন এহসান খান। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন এহসান নেওয়াজ ও আইজাজ খান।





আরো খবর