বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:৩০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ইমরুলের প্রতিদান

খুলনা থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সুযোগ পেলেন কই। তা সত্ত্বেও বাইশ গজে গিয়েই খেলে ফেললেন ৭২ রানের হার না-মানা ইনিংস। শুধু কী তাই? মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়লেন। যা বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড। ইমরুল কায়েস এরচেয়ে ভালো প্রতিদান আর কী দিতে পারতেন? না পারলে কথা উঠত, সমালোচনা হতো। ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এমনিতে হঠাৎ খুলনা থেকে ডেকে এনে ইমরুল ও সৌম্য সরকারকে আরব আমিরাতের বিমানে তুলে দিয়ে কম সমালোচনা হজম করতে হয়নি বিসিবিকে। কোনো কোনো সাবেক ক্রিকেটার বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত হটকারী বলতেও কুণ্ঠিত হননি। অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজাও উষ্মা প্রকাশ করেন দু’জনকে হঠাৎ দলে নেয়ায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কাল সুপার ফোরের ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েই ইমরুল তার প্রতি আস্থার প্রতিদান দেন। নির্বাচকরা হাফ ছেড়ে বাঁচেন। টিম ম্যানেজমেন্টেরও স্বস্তি পাওয়ার কথা। কে বলে সাফল্যের কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই? ইমরুল হঠাৎ ডাক পাওয়া এবং আমিরাতে উড়ে গিয়ে ফিফটি করে বাংলাদেশকে ২৪৯ রানের লড়াকু ইনিংস গড়তে সহায়তা করা- সবই তো হল দ্রুততম সময়ে। ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখানোর জন্য দরকার ছিল বাতিঘরের। সেই কাজটা করলেন ছয়ে ব্যাট করতে নামা ইমরুল এবং দলের ‘আনসাং হিরো’ মাহমুদউল্লাহ। এ দু’জনের ফিফটি আবুধাবিতে এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের দুটি প্রধান স্তম্ভ। মাহমুদউল্লাহ ৭৪ রান করেন ৮১ বলে। তিনটি চার ও দুটি ছয়ে স্ফীত হয় তার ইনিংস। ইমরুল ছয়টি চার হাঁকান তার অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে। জুনিয়রদের নিয়ে এখনই এত মাতামাতি করার কিছু নেই। এটা প্রমাণ করতেই হয়তো টানা তৃতীয়বার ব্যর্থ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারে আফতাব আলমকে উইকেট দেন তিনি পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে। তিনে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আগের বলে চার মারা লিটন অহেতুক সুইপ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। ৪৩ বলে ৪১ রানে থামেন তিনি। রশিদ খানের একই ওভারে রানআউট হন সাকিব আল হাসান। রশিদের পরের ওভারে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মুশফিক। ১৪ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২১তম ওভারে ৮৭/৫। এরপর ১১ মাসে প্রথম ওডিআই খেলতে নামা ইমরুল এবং মাহমুদউল্লাহ মিলে ইনিংস মেরামতের কাজ সারেন।





আরো খবর