ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে তাদের টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে। ফাইনাল সেরা রুমানা আহমেদ বড় লাফ দিয়ে ১২তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে। তার সাথে এগিয়েছেন অফস্পিনার খাদিজাতুল কুবরা। ক্যারিয়ার সেরা পয়েন্ট অর্জন করে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ১৩তম স্থানে। এ দিকে ঘোষণা এসেছে মহিলাদের জন্য আলাদা অ্যাকাডেমি গঠনেরও।
রুমানার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের মঞ্চটা পোক্ত হয়েছে বাংলাদেশের। ২২ বলে ২৩ রান করার পাশাপাশি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেছেন ফাইনালে। ভারতের ক্ষেত্রে এগিয়েছেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পাওয়া হারমানপ্রীত ৬ খেলায় করেছেন ২১৫ রান। তাতে একধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় রয়েছেন সপ্তম স্থানে। উল্টো দিকে স্মৃতি মন্ধানা দুই ধাপ পিছিয়ে নবম স্থানে। এ ছাড়া ভারতীয় লেগস্পিনার পুনম যাদব ও পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার আনাম আমিন টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে রুমানা আছেন বিশ্বে। ২৭ নম্বরে আছেন সালমা, পেসার জাহানারা আলম ৩৫ নম্বরে। ফাইনালে দারুণ বোলিং করলেও উইকেট পাননি নাহিদা আক্তার। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ২২ ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার এখন ৪০ নম্বরে। ব্যাটিংয়ে সেরা পঁচিশেও নেই বাংলাদেশের কেউ। ২৭ নম্বরে থেকে সবার ওপরে সালমা। রুমানা ৩০ আর ফারজানা হক ৩২।
মহিলা ক্রিকেটাররা দেখিয়ে দিয়েছেন চেষ্টা থাকলে সব হয়। কম সুযোগ সুবিধা, কম বেতন-ভাতা পেয়েও দেশের ক্রিকেটকে তারা গৌরবে ভাসিয়েছেন নিজেদের প্রচেষ্টায়। মেয়েদের এমন সাফল্যে টনক নড়েছে সবার। একে একে পুরস্কারের ঘোষণা আসছে, আসছে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাসও। তেমনই একটি ঘোষণা এলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার মনে করছেন, এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
মহিলা দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্দেহাতীতভাবেই আমাদের দেশের স্মরণীয় এবং সবচেয়ে বড় সাফল্য। মহিলাদের জন্য আলাদা একটি অ্যাকাডেমি গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আলোচনা সাপেক্ষে সবই করা হবে।’