ঢাকা: শুরুটা ভালোভাবে করতে না পারলেও সর্বশেষ দুটি ম্যাচ জিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্স।
আজ শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয়েছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানসের। শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি।
প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে খুলনা টাইটানস।
ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রিলে রুশোকে হারায় খুলনা। ৪ বলে ১১ রান করেন রুশো। তৃতীয় ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরলে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও বাহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসটা সামলানোর দায়িত্ব নেন। ২০ রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত। দলীয় ৫৯ রানে মাহমুদউল্লাহকে একা রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
এরপর লড়াইটা একাই নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকাটা সচল রাখেন তিনি। ২০ বলে ১৬ রান করে পুরান ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৩০ রানে তিনি যখন ফিরে যান তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস।
এরপর কার্লোস ব্রার্থওয়েট-আরিফুল হকরা স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা টাইটানস। বার্থওয়েট ১১ ও আরিফুল ১৬ রান করেন। রংপুরের রুবেল তিনটি ও মালিঙ্গা নেন দুটি উইকেট।
সাত ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে খুলনা। অন্যদিকে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর আছে পঞ্চম স্থানে। তারা অবশ্য খুলনার চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছে। আজ খুলনার বিপক্ষে জয় পেলে পরবর্তী রাউন্ডের স্বপ্ন আরো জোরদার হবে রংপুরের।
এবারের আগে সর্বশেষ দুটি মুখোমুখি লড়াইয়েই খুলনার বিপক্ষে জয় পেয়েছে রংপুর। দুটি ম্যাচই ছিল বিপিএলের গত মৌসুমের। এর মধ্যে একটি ম্যাচে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার লজ্জায় ডুবতে হয়েছিল খুলনাকে।